শরীফ শাওন: [২] ঢাকা ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিম এ খান বলেন, পানি সরবরাহের বিতরণ নেটওয়ার্ক না থাকায় সর্বোচ্চ উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। পানির চাপে দুর্বল সরবরাহ পাইপ ফেটে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। একারণে একটি বিতরণ নেটওয়ার্ক প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শোধনাগারটির পুরো সুফল পাওয়া যাবে। শোধনাগার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে রাজস্ব আয় বেড়েছে তিন গুণের বেশি।
[৩] দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহের সক্ষমতা নিয়ে পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প থেকে বর্তমানে দৈনিক সাড়ে ২২ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
[৪] ওয়াসা সূত্র জানায়, রাজধানীতে চাহিদার শতভাগ পানি সরবরাহ নিশ্চিতে ২৪/৭ প্রেসারাইজড পানি সরবরাহ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এতে পুরাতন ও দুর্বল পাইপ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে নগরীর ১৪৫টি ডিএমএ’র (ডিস্ট্রিক্ট মিটারড এরিয়া) মধ্যে ৬০টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২২ সাল নাগাদ শেষ হবে।
[৫] আরও জানায়, শোধনাগার পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার চীনা সিএএমসিই লিমিটেডকে নিযুক্ত করা হয়। চীনা বিশেষজ্ঞদের সম্মানী, স্থানীয় জনবলের বেতন/ভাতা, পানি পরিশোধনে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যাদি ক্রয়, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাবদ প্রকল্পটিতে মাসিক ব্যয় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি, বছরে ৪৩ কোটি টাকা। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :