নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] মিরপুর শের ই বাংলায় আজ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নতুন এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেলেন। যে অভিজ্ঞতার স্বাদ ক্যারিয়ারে কখনোই নেয়া হয়নি। পুরো হোম অব ক্রিকেটকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
[৩] একটি গ্রিন বা সবুজ জোন, অপরটি রেড বা লাল জোন। বলার অপেক্ষাই রাখছে না ক্রিকেটাররা সবাই গ্রিন জোনের আওতাধীন থেকেই পাঁচ দিনের বিরতি শেষে বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত অনুশীলনে ফিরেছেন।
[৪] এরআগে গত পরশু তারা সবাই বিসিবির নেয়া করোনা পরীক্ষায় পাশ করেছেন। তরুণ ওপেনার সাইফ হাসান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি বিধায় অনুশীলনেও যোগ দিতে পারেননি।
[৫] গ্রিন জোন হচ্ছে মিরপুর শের ই বাংলার সেই অঞ্চল যেখানে মূলত ক্রিকেটার ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা প্রবেশাধীকার পাবেন। এর আওতায় আনা হয়েছে; স্টেডিয়াম, ড্রেসিংরুম, ইনডোর ও জিমনেশিয়ামের মত অবকাঠামো। আর রেড জোনে রাখা হয়েছে যাদের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোন ধরণের যোগাযোগের প্রয়োজন নেই।
[৬] শুধুই বিসিবির দাপ্তরিক কর্মাদী সম্পন্ন করতে যারা আসবেন। উর্ধোতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য।
মিরপুর শের ই বাংলাকে দুই জোনে ভাগ করে স্ব স্ব জোনে অন্তর্ভূক্তদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে কেউ ভুল করেও অন্য জোনে প্রবেশ করতে না পারেন।
[৭] বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আমরা পুরো স্টেডিয়ামকে গ্রিন ও রেড জোনে ভাগ করেছি। গ্রিন জোন মানে যে জায়গাগুলোতে প্লেয়াররা চলা ফেরা করবে। অর্থাৎ এটি নিরাপদ জোন। এখানে আমরা বাইরের লোকজন প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিচ্ছি।
[৮] এর আওতায় আছে স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়াম, ইনডোর, ড্রেসিংরুম মানে যেখানে যেখানে প্লেয়াররা যাবে। এখন থেকে তাদের জন্য অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড করা হয়েছে। গ্রিন জোনে যেতে অবশ্যই গ্রিন কার্ডধারী হতে হবে।’
[৯] রেড জোন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানালেন, ‘রেড জোনে অন্যরা যাবে। মানে যাদের অফিসিয়াল কাজ থাকবে। যাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন নেই তারা রেড জোনে থাকবে।
[১০] যখন প্রয়োজন হবে কাজের গুরুত্ব বিবেচনা করে তাদের যেতে দেওয়া হতে পারে। তবুও তাদের যাওয়ার পথে জায়গায় জায়গায় চেক করা হবে। সিরিজের জন্য দল দেওয়া হলে প্লেয়াররা যখন টিম হোটেল থেকে মাঠে আসবে তখন করোনা পরীক্ষা ছাড়া কোন লোক ঢুকবে না।