ডেস্ক রিপোর্ট: করোনায় হলিউডের যে ক’টি বড় প্রকল্প থেমে গেছে, তার অন্যতম টম ক্রুজের মিশন ইমপসিবল সেভেন। ফেব্রুয়ারিতে ইতালিতে সবে ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল।
মহামারী কাটিয়ে কিছুদিন আগে লন্ডনে মিশন ইমপসিবল সেভেন-এর প্রডাকশনের কিছু কাজ হয়েছে। আর এখন নতুন করে শুটিং শুরু হয়েছে নরওয়ের মোড়ে রমসডাল জেলায়। এ উপকূলীয় এলাকায় আছে সামুদ্রিক খাঁড়ি, হিমবাহ, পর্বত, জলপ্রপাত ও দ্বীপ।
দুইদিন আগে পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককারি নরওয়েতে শুটিং শুরুর কথা জানিয়েছেন। সঙ্গে শেয়ার করেছেন একটি ছবি, যেটাতে দেখা যাচ্ছে পর্বতের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে উঁচু র্যাম্প। বোঝাই যাচ্ছে এই র্যাম্প তৈরি হয়েছে টম ক্রুজের মোটরবাইক স্টান্টের জন্য।
প্রযোজকরা কাজে আর কোনো দেরি বা বিঘ্ন চাইছেন না। প্রডাকশন কোম্পানি ট্রুনর্থ দুটো ক্রুজ শিপ ভাড়া করেছে। একটি হলো একেবারে নতুন এমএস ফ্রিডজফ নানসেন এবং অন্যটি এমএস ভার্সটেরালান।
মিশন ইমপসিবল সেভেন-এর পুরো দল এ দুই ক্রুজ শিপে অবস্থান করবে। এতে খরচ হবে ৭ লাখ মার্কিন ডলার। শোনা যাচ্ছে, এতে ৫ লাখ পাউন্ড দিয়েছেন টম ক্রুজ।
ক্রুজ কোম্পানি হার্টিগরুটেন নরওয়ের ট্যাবলয়েড ভার্দে গ্যাংকে জানিয়েছে, প্রডাকশন কোম্পানি ট্রুনর্থ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ ক্রুজ শিপ দুটো ভাড়া নিয়েছে।
ক্রুজ শিপ দুটো ভাড়া নেয়ার উদ্দেশ্য মিশন ইমপসিবল সেভেন-এর পুরো টিমকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করা। জাহাজগুলোয় কাস্ট এবং ক্রুরা করোনায় আক্রান্ত হবেন না এমনটা নিশ্চিত করতেই এ ব্যবস্থা।
দ্য ডেইলি মেইল জানিয়েছে, পুরো টিম নরওয়েতে পৌঁছনোর পর ৪৮ ঘণ্টায় তাদের দুবার কভিড-১৯-এর পরীক্ষা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে নরওয়েজিয়ান সরকার বেশি সংক্রমণের দেশ থেকে আসা ক্রুদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন থাকার নির্দেশনা শিথিল করেছে।
হার্টিগরুটেন মার্চের শাটডাউনের পর প্রথম ক্রুজ লাইন হিসেবে নতুন করে সেবা চালু করেছে।
মিশন ইমপসিবল সেভেন ২০২১ সালের নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা। মিশন ইমপসিবল ফ্র্যাঞ্জাইজির প্রথম কিস্তি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে। এ ফ্র্যাঞ্জাইজি এখন পর্যন্ত বক্স অফিসে ৩৬০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে।
সূত্র: ফোর্বস, স্কাই নিউজ