রাশিদুল ইসলাম : [২] রাশিয়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করছে গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ট্রায়াল শুরু হয় ১৮ জুন। দুই পর্বে ৭৬ জনকে টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এবার ভ্যাকসিনের সেফটি ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হবার পর কোয়ালিটি টেস্টেও কোনও গলদ নেই। স্পুটনিক
[৩] স্পুটনিক ভি টিকা কোভিড সংক্রমণ রোধ করতে যে সক্ষম তা প্রথম দুই পর্বের ট্রায়ালে প্রমাণ হয়েছে। ভ্যাকসিনের ডোজে মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। টি-কোষও সক্রিয় করে রোগ প্রতিরোধ তৈরি করছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্টও ভাল। এই পর্যায়ে বহু মানুষের শরীরে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেলেনি। কোয়ালিটি টেস্টে পাশ করার পরে মেডিক্যাল ডিভাইস রেগুলেটরের অনুমতিও মিলেছে। তাই ভ্যাকসিনের প্রথম ইউনিট বাজারে আনা হচ্ছে।
[৪] মস্কোর সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ভাদিম তারাসভের বক্তব্য, গ্যামেলিয়া একদিনে ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেনি। ভ্যাকসিন নিয়ে তাদের দীর্ঘ গবেষণা রয়েছে। এই গবেষণার মজবুত ভিত রয়েছে। যে অ্যাডিনোভাইরাসের কারণে সাধারণ সর্দি জ্বর হয়, তার উপর ভিত্তি করেই নতুন ভ্যাকসিন বানানো হয়েছে। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের প্রধান এপিডেমোলজিস্ট নিকোলাই ব্রিকোও একই দাবি করেছেন।
[৫] ল্যানসেটের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার ২১ দিনের মধ্যেই অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। গবেষকদের দাবি, দ্বিতীয় রিপোর্ট পাওয়া যায় ট্রায়ালের ২৮ দিন পর থেকে। ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই রক্তে টি-কোষ সক্রিয় হতে শুরু করেছে। এই টি-কোষ হল শরীরের মূল সুরক্ষা কবচ।
আপনার মতামত লিখুন :