এইচএম দিদার: [২] সারা বিশ্ব করোনার ছোবলে কাবু হয়ে গেছে। বৈশ্বিক এ মহামারিতে লণ্ডভণ্ড সব সাজানো গুছানো জীবন সংসার। কারো কারো সোনালী জীবন তছনছ হয়ে গেছে অদৃশ্য এ ক্ষুদ্রতর ভাইরাসের তান্ডবে।
[৩] সারা বিশ্বের, সারা দেশের সকল ধরনের বিখ্যাত নামি দামি প্রতিাষ্ঠান আজ বিনাশের দ্বারপ্রান্তে।এই বিনাশী শক্তি থেকে কে আমাদের পরিত্রাণ বা মুক্তি দিতে পারে ? একমাত্র রক্ষা করতে পারে কেবল আমাদের সৃষ্টিকর্তা।
[৪] এ মহামারি থেকে সারা বিশ্বের প্রতিটি মানুষই যে যার অবস্থান থেকে চেষ্টা করছে আত্মরক্ষার জন্য কিন্তু পেরে ওঠার সফলতা আজো অধরা।
[৫] চলমান এমন সংকটাপন্ন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা পড়া-লেখায় ব্যাপক অমনোযোগী।এর কারণ হিসেবে জানা যায়,করোনা ও লকডাউনের প্রভাবে সারা দেশে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সরকার বন্ধ ঘোষণা করায় এখন বাড়তি চাপ না থাকায় শিক্ষার্থীরা নিয়মমাফিক পড়াশোনা করছেন না বলে একাধিক অভিভাবক জানান। শ্রেণি ভিত্তিক পাঠদান এর বিষয় সমূহে পিছিয়ে পরছে।
[৬] এ ঘাটতি পুষিয়ে ওঠা খুব কঠিন বলেও মনে করছেন নলেজ পাওয়ার টিচিং হোমের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন রোমেন। কথায় আছে, যে জাতি যতো শিক্ষিত ও মেধাবি যে জাতি ততো উন্নত।বাংলাদেশি মেধাবি শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা ও মেধায় আজ বিশ্বপরিসরে সমাদৃত। এসব মেধাবিরা দেশের মান মর্যাদা বৃদ্ধিতে যুগান্তকারী বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে।
[৭] বাংলাদেশে করোনার থাবা পরেছে আজ প্রায় ছয় মাস হতে চলছে।এর মধ্য লকডাউনের কারণে বড় শিল্প-কারখানা থেকে শুরু করে ছোট-মাঝারি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষয়-ক্ষতির সুম্মুখীন হয়ে দিশেহারা।
[৮] দেশের এমন অবস্থার মধ্য বড় ঝুঁকিতে আছে শিক্ষাখাতও। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্থরের শিক্ষার্থীরা করোনার প্রভাবে পড়া-লেখায় অমনোযোগী হয়ে পরছে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানতো দূরের কথা কোনো কোচিং সেন্টার বা গৃহশিক্ষককের কাছেও পড়ার সুযোগ নেই।
[৯] অনিদ্দিষ্ট কারলের জন্য বন্ধ আছে দেশের সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। কবে নাগাদ খোলা হবে সে বিষয়েও কোনো সম্ভাবনা নেই।ধারনা করা হচ্ছে করোনার সংক্রমণেরোধে সফলতা আসলেই হয়তো সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিবে সরকার।কিন্তু আশা দূরহ।
[১০] শিক্ষা ব্যবস্থা ত্বরান্বিত রাখতে শিক্ষার্থীরদের বাসায় পাঠদানে মনোযোগী রাখতে শিক্ষামন্ত্রণালায় চালু করেছিলো ভার্চুয়াল সিস্টেম শিক্ষাবিস্তারলাভে পাঠাদান কর্মসূচি। কিন্তু সে পদক্ষেপে শহরের শিক্ষার্থীরা কিছুটা মনোযোগী হলেও সাড়া মেলেনি মফস্বল শিক্ষার্থীদের।
[১১] শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের পাঠাদান এর ব্যাপারে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন জনের বক্তব্য তুলে ধরা হলো:
দাউদকান্দি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ জসিউদ্দিন আহমেদ জানান," এ বিষয়ে সরকারে প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আগামী প্রজন্মের সোনালী ভবিষ্যৎ ও জাতীয় মানবসম্পদ গড়ার লক্ষে যেনো অক্টোবর নাগাত স্কুল -কলেজ খোলে দেয়া হয়।
[১২] দাউদকান্দি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধির কোঅপ্ট সদস্য আহসান হাবীব চৌধুরী লিল মিয়া বলেন," করোনার আপদে ও লকডাউনের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যহত হচ্ছে।তবে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে বাসায় পড়াতে হবে। তাহলে এ ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব। এ বিষয়ে সরকার সচেতন আছে। দেশের যে কোনো কল্যাণে সরকার এর গৃহীত সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই।
[১৩] মাতৃছায়া একাডেমির প্রধান শিক্ষক বায়েজিদ সরকার এর জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন," এমন দুঃসময়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে কিন্ডার গার্টেন এর শিক্ষকরা,তাদেরকে সরকার বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একটু সহযোগীতার হাত বাড়ানো উচিত বলে মনে করি।
[১৪] নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবক বলেন,করোনার এমন পরিস্থিতিতে আমার ছেলে-মেয়ে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় পড়া লেখার প্রতি অমনোযোগী হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, সরকারের প্রতি অনুরোধ স্বাস্থ বিধি মোতাবেক স্কুল কলেজ খোলে দেয়া হোক। সম্পাদনা: সাদেক আলী