আমান উল্লাহ : [১] সোমবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ ৩) হেলাল উদ্দীনের আদালতে মামলা দুটির আবেদন করা হয়েছে। নিহত নুর মোহাম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম ও মো. আজিজের মা হালিমা খাতুন বাদী হয়ে এই দুই মামলার আবেদন করেন।
[২] বাদীপক্ষের আইনজীবী নূর হোসেন নাহিদ মো. মোস্তফা এ তথ্য জানান। দুটি মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
[৩] নিহত নূর মোহাম্মদের মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, গত বছরের ১৯ মার্চ বীজ ও স্যার আনতে কৃষি অফিস গেল সেখান থেকে কৃষি সরঞ্জাম ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তার পরিবারে থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপসহ অন্যরা। না দিলে তাকে ক্রসফায়ারে মারা হবে হুমকি দেয়া হয়। করে পাঁচ লাখ টাকা দেয়া হয়।
[৪] কিন্তু ২১ মার্চ রাতে স্ত্রী লায়লা বেগম নুর ও মোহাম্মদকে থানা থেকে বের করে মেরিন ড্রাইভ সড়কের রাজারছড়া এলাকায় নিয়ে যায়।এক পর্যায়ে নুর মোহাম্মদকে কয়েকজন পুলিশ তুলে নিয়ে ঝাউবাগানে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
[৫] অন্যদিকে নিহত আজিজের মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর টেকনাফ থানার একদল পুলিশ আজিজ, নুর হাসান ও আবুল খায়ের নামের তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে আজিজের পরিবার থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি ওসি প্রদীপসহ অন্যরা। না দিলে আজিজকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে হুমকি দেয়। ৫০ হাজার টাকা পুলিশকে দেয় আজিজের পরিবার। কিন্তু ১৯ অক্টোবর রাতে মহেশখালীয়াপাড়া নদীঘাট এলাকায় আজিজকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়।
[৫] বাদীপক্ষের আইনজীবীরা জানান, ফৌজদারি মামলার এজাহার দুটি আমলে নিয়েছেন আদালত এবং ওই ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কিনা তা আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :