হাসান শামীম: [২] আগামী বছরের শুরতেই সিলেটের ১৬ পৌরসভার বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মেয়াদ শেষের আগেই ডিসেম্বরে এ পৌরসভাগুলোর নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
[৩] ভোটার তালিকা হাল নাগাদ করে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে সিলেট থেকে পত্র পাঠানো হয়েছে। সেজন্য সিলেটে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। সেই সাথে প্রার্থীরাও গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী তৎপরতা। নিজের পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের একত্রিত করার জন্য শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। সেই সাথে চলছে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ-আলোচনা।
[৪] সিলেট বিভাগের চার জেলায় ১৯টি পৌরসভা রয়েছে। জানা যায়, ইতিমধ্যে সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
[৫] এই পৌরসভার মধ্যে রয়েছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ, হবিগঞ্জের মাধবপুর, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের সুনামগঞ্জ, ছাতক, জগন্নাথপুর, দিরাই এবং মৌলভীবাজারের মৌলভীবাজার, কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও বড়লেখা। এ ছাড়া, মেয়াদোত্তীর্ণ না হওয়ায় সিলেটের বিয়ানীবাজার এবং মামলাজনিত কারণে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে না। ফলে তিনটি পৌরসভাকে বাদ দিয়েই সিলেটে নির্বাচনের আয়োজন করতে হচ্ছে।
[৬] নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনযোগ্য ১৬ পৌরসভার মধ্যে আগামী জানুয়ারি মাসে ১টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৩টি এবং মার্চ মাসে ২টি পৌরসভা পরিষদের ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে। এ জন্য এই ১৬ পৌরসভার বিস্তারিত তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে পৌরসভার নাম ও শ্রেণি, নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ, শপথ গ্রহণের তারিখ, প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখসহ বিস্তারিত বিবরণ ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়।
[৭] উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ৩০শে ডিসেম্বর সিলেট বিভাগের ১৬ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সিলেটে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে প্রতিটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা অংশ নেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ