শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ ◈ তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি ◈ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের ◈ উপজেলা নির্বাচনে হার্ডলাইনে বিএনপি, ৭৩ নেতা বহিষ্কার ◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন 

প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:৩৬ সকাল
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আড়াই হাজার গ্রাহক এখনও বিদ্যুৎবিহীন

শিমুল মাহমুদ: [২] দেশে কয়েক দফা বন্যায় ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সেবা। এখনও অনেক জেলা বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে যাওযা, গাছ পড়ে তাঁর ছিড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝুঁকি বিবেচনা করে এখনো বন্যাকবলিত এলাকার সকল গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। বিতরণ কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, পানি নেমে গেলেই ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। সারাবাংলা

[৩] বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড- আরইবি'র তথ্য অনুযায়ী বন্যায় দেশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০৩ উপজেলা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরিশাল, খুলনা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর এলাকা।

[৪] বিতরণ সংস্থা আরইবি'র তথ্য বলছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ২৬ জেলার ৪৬১ টি বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে কিছু খুঁটি একেবারে ভেঙে গেছে, যা মেরামতের অবস্থায় নেই। কিছু উপরে পড়েছে। আবার কিছু বাঁকা হয়ে পড়েছে। যা মেরামতের কাজ চলছে। এসব কারনে ওইসব এলাকার ৩৮ কিলোমিটার লাইন এখনো বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ৭২ ট্রান্সফরমার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭ ট্রান্সফরমার।

[৫] সূত্র জানায়, এবার বন্যায় ১০৩ উপজেলায় ১০ হাজার ৩১১ জন আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ওঠেন। এ জন্য আইরইবি ২৮১ টি আশ্রয়কেন্দ্রে বাড়তি বিদ্যুত সরবরাহ করে। জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাতক্ষীরায় হয়েছে। সেখানে এখনো প্রায় দুই হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। কুড়িগ্রাম ও লাল মনিরহাটে ১৭৩ জন গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন। আর ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এ ১৮, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, খুলনায় এখনো ২৫১ জন গ্রাহক বিদ্যুতবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। বন্ধ রয়েছে শেরপুরের দুটি বিদ্যুৎ লাইন। সবমিলিয়ে ২ হাজার ৪১৩ জন গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। এদিকে বন্যায় বিদ্যুতের ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫০ টাকা।

[৬] বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ বলেন, বন্যা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি মেরামতের কাজ শুরু করা হয়। যেসব এলাকায় পানি উঠেছে সেসব এলাকায় পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিতরণ সংযোগ দিয়েছে। তবে যেসব খুঁটি বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখনও পানিবন্দি রয়েছে যেসব এলাকা, সেসব স্থানের পানি নেমে গেলেই বিদ্যুৎ পাবেন গ্রাহকরা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়