বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় ১৮ বছরের এক তরুণীকে নিয়ে ফেসবুকে ‘আপত্তিকর’ লেখা ও ছবি আপলোড করেন তাইমুন নামে এক তরুণ। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশের কোনো সহায়তা না পেয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ওই তরুণী। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই তরুণীকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে ওয়াশ করার পর বিপদমুক্ত হন তিনি।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কীটনাশক পান করে ওই যুবতী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ওই তরুণী সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না গ্রামের নারী সদস্য লাইলীর মেঝ মেয়ে। অভিযুক্ত তাইমুন একই গ্রামের মীর নজরুল ইসলাম খোকনের ছেলে।
ভুক্তভোগী তরুণীর মা জানান, তাইমুন ২৬ ও ২৮ আগস্ট নিজের ফেসবুক আইডিতে তার মেয়েকে নিয়ে ছবিসহ পোস্ট দেয়। ছবির ক্যাপশন ছিল, ‘এই মেয়েটি কাল রাতে পাঁচজন ছেলের সাথে এক রুমে ধরা পরেছে।’
এ ছাড়াও ‘জীবনযুদ্ধে হেরে গেছি’ নামের অপর একটি ফেসবুক আইডি দিয়ে তাইমুন ছবিসহ পোস্ট দেয়। সেখানেও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলা মেম্বারের পরিবার নিয়ে আপত্তিকর ক্যাপশন দেন।
আজ শনিবার ওই মহিলা মেম্বার বলেন, ‘আমি জনগণের একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাইমুন আমার মেয়ে ও আমাদের ছবি দিয়ে পৃথক দুটি আইডি দিয়ে অশ্লীল পোস্ট আপলোড করে আমাদের মান-সম্মান নষ্ট করে।’
ওই মেম্বার আরও বলেন, ‘আমি ৩০ আগস্ট বরগুনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমার মেঝ মেয়ে মনের কষ্টে ও লজ্জায় গতকাল সন্ধ্যায় কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আমরা দেখতে পেয়ে দ্রুত বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে ডাক্তার ওয়াশ করে বিষমুক্ত করেন। এখনো আমার মেয়ে হাসপাতালে।’
তিনি বলেন, ‘তাইমুনের মায়ের সঙ্গে নির্বাচন করে আমি মেম্বার নির্বাচিত হয়েছি। সেই থেকে ওরা আমাদের ক্ষতি করে যাচ্ছে। আমি জিডি করার পর পুলিশ তাইমুনকে আটক করলে এমন ঘটনা ঘটত না। পাঁচদিনেও পুলিশ জিডির তদন্ত কিংবা ঘটনাস্থলে যায়নি।’
এ বিষয়ে বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একজন এএসআইকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সে কি করেছে খোঁজ নিয়ে জানাব।’
আপনার মতামত লিখুন :