শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০২:০৯ রাত
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০২:০৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সড়কের উপর সিএনজি স্ট্যান্ড

মাহফুজ নান্টু: [২] নগর কুমিল্লার প্রান কেন্দ্র কান্দিরপাড়। সকাল থেকে দুপুর-বিকেল থেকে রাত। এখানে ক্ষণে ক্ষণে লেগে থাকে যানজট। টমছমব্রীজ ও চকবাজারেও একই অবস্থা। নগরীর প্রধান সড়কের উপর তিনটি সিএনজি স্ট্যান্ডের কারনে দিনভর যানজট লেগে থাকে। ভাড়ায় চলে এসব সিএনজি স্ট্যান্ড। তিনটি স্ট্যান্ড থেকে গড়ে অন্তত পাঁচলাখ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। বিভিন্ন সংগঠন এসব ভাড়া আদায় করা হয়। সরকারী অনুমতি ছাড়াই চলছে এসব অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড।

[৩] কান্দিরপাড়ে কাক ডাকা ভোর থেকে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সিএনজি চলাচল করে। তাই কান্দিরপাড়ে যানজট এখন নিত্য চিত্র। আর সকাল ৯ টার পরেও টমছমব্রীজ ও চকবাজারে যানজট শুরু হয়। চলে রাত অবধি।

[৪] শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টা। যানবাহনের চাপে পুরো কান্দিরপাড় স্থবির হয়ে পড়ে। যানজটে আটকে পড়ে রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স। পূবালী ব্যাংকের পাশের অবৈধ সিএনজি চালিত অটোরিক্সার কারনেই এমন ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ বছর ধরে এই সিএনজি স্ট্যান্ডটি সিটি কর্পোরেশন কিংবা জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই চলে আসছে।
শুধু মাত্র কান্দিরপাড় পূবালী ব্যাংকের পাশের স্ট্যান্ডটি থেকে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হয়।

[৫] এক অনুসন্ধানে জানা যায়, কান্দিরপাড় পূবালী ব্যাংকের পাশে গড়ে উঠা সিএনজি স্ট্যান্ডে দৈনিক আড়াইশটি সিএনজি চলাচল করে। প্রতিটি সিএনজি থেকে প্রতিদিন ৩০-৪০ টাকা করে জিবি আদায় করা হয়। সে হিসেবে আড়াই’শটি সিএনজি থেকে গড়ে ৩৫ টাকা করে আদায় করলে দৈনিক ৮ হাজার ৭৫০ টাকা উত্তোলন করা হয়। তাহলে গড়ে শুধু কান্দিরপাড় পূবালী ব্যাংকের পাশের সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে মাসে ভাড়া আদায় হয় ২ লাখ ৬২ হাজার ৫শ টাকা।

[৬] কান্দিরপাড়েরর অবৈধ এ স্ট্যান্ডটি পরিচালনা করেন হাবিব মিয়া। তার বাড়ী কোট বাড়ী কালিরবাজারে। তাকে সবাই হাবিব কেরানী নামে চিনেন। তিনিই কান্দিরপাড় পূবালী ব্যাংকের পাশে সিএনজি স্ট্যান্ডটি পরিচালনা করেন।

[৭] কথা হয় কেরানী হাবিবের সাথে। তিনি জানান, এখানের উত্তোলন করা ভাড়া পরিচালনা করেন সিএনজি মালিক সমিতি সংগঠন (১৫৬৯) এর সাধারণ সম্পাদক আলম হাওলাদার। তবে আলম হাওলাদার জানান, কান্দিরপাড় স্ট্যান্ডের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। সিএনজি মালিক সমিতি সংগঠন (১৫৬৯) এর মাধ্যমে রামঘাট ও টমছমব্রীজ সিএনজি স্ট্যান্ড পরিচালিত হয়।

[৮] এসব স্ট্যান্ড কি বৈধ এমন প্রশ্নের জবাবে কেরানী হাবিব ও সিএনজি মালিক সমিতি সংগঠন (১৫৬৯) এর সাধারণ সম্পাদক আলম হাওলাদার জানান, কোন সিএনজি স্ট্যান্ডেরই বৈধতা নেই।

[৯] সূত্র জানায়, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা সংগঠনের বিভিন্ন নেতারা কান্দিরপাড়, টমসমব্রীজ ও চকবাজারে মিলে ৩ টি স্ট্যান্ড পরিচালনা করেন। যেখানে তিনটি স্ট্যান্ড থেকে প্রতি মাসে গড়ে অন্তত সাড়ে ৫ লাখ টাকা মাসিক ভাড়া আদায় করেন।

[১০] তবে নগরীর রাজগঞ্জসহ বিভিন্ন সড়কে আরো অন্তত দশটি সিএনজি চালিত অটোরিকসা স্ট্যান্ড পরিচালিত হয়। তবে কান্দিরপাড়, টমছমব্রীজ ও চকবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের কারনেই পুরো নগরীজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।

[১১] এদিকে বিষয়টি নিয়ে ট্রাফিক পরিদর্শক কামাল উদ্দিন জানান, যানজটের জন্য দায়ী অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠা এসব সিএনজি অটোরিকশার কারনে নগরীজুড়ে দিনভর যানজট লেগে থাকে। আমরা অনুমতি পেলে এসব সিএনজি স্ট্যান্ড ১০ মিনিটেই উচ্ছেদ করে ফেলবো। সম্পাদনা: সাদেক আলী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়