জেরিন আহমেদ: [২] বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা জানান, আষাড়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত এই তিন মাস বৌদ্ধদের কাছে অত্যন্ত সংযমের মাস। বর্ষাবাস যাপনকালে ভিক্ষুগণ প্রতিটি অষ্টমী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথীতে প্রাতিমোক্ষ আবৃত্তি, আপত্তি দেশনাসহ নানাবিধ বিনয়ভিত্তিক কর্ম সম্পাদন করেন। এসময় তারা প্রতিটি উপসথ দিবসে গৃহীদের কাছেও ধর্মদেশনা করেন এবং গৃহীদের শীলাদি প্রদানসহ ধর্মীয় জীবনাচারে উপদেশনা প্রদান করেন।
[৩] এই সময়টুকু বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অতিবাহিত করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। তাই পর্যটক আগমনে আচার অনুষ্ঠানের যাতে কোন ধরনের বিঘ্ন না ঘটে তার জন্য আগামী ২ মাস বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তব্যরত ব্যক্তিরা।
[৪] আগস্টের ৩ তারিখ থেকে এ বর্ষাবাস শুরু হয় শেষ হবে আগামী নভেম্বর মাসের ৬ তারিখ। আগস্ট মাসে লকডাউনের কারণে সব পর্যটনকেন্দ্রর সঙ্গে এ পর্যটনকেন্দ্রও বন্ধ ছিলো। তবে লকডাউন উঠে গেলে বান্দরবানের সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দিলেও বর্ষাবাসের কারণে ২ মাস এ পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রেখেছে দায়িত্বরতরা। স্বর্ণ জাদি বন্ধ থাকায় প্রতিদিনই শত শত পর্যটক ফিরে যাচ্ছে।
[৫] প্রসঙ্গত, বর্ষাবাস বৌদ্ধ ভিক্ষুসংঘের আত্মবিশ্লেষণাত্মক এবং অধিষ্ঠানমূলক শিক্ষাব্রতবিশেষ। এসময় ভিক্ষুরা বিধিবদ্ধ শিক্ষা ও একান্ত ধ্যান সমাধির চর্চা করেন। বুদ্ধের সময় থেকেই এ ব্রত পালিত হয়ে আসছে। বুদ্ধদেব স্বয়ং রাজগৃহে অবস্থানকালে ভিক্ষুসংঘের জন্য এই বর্ষাবাস বিধান প্রবর্তন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :