মো.ইউসুফ মিয়া, রাজবাড়ী প্রতিনিধি : [২] বুধবার (২রা সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শারমিন নিগার জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
[৩] সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের আরশাদ মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লা (২২) এবং একই উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের মৃত মুন্নাফ সরদারের ছেলে হান্নান সরদার (৩২) ও মৃত আবুল মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা (২৫)। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
[৪] মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী রাত ৮টার দিকে ওই নারী চিকিৎসক রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে এসে নেমে ফরিদপুরে যাওয়ার জন্য গাড়ীর সন্ধান করছিলেন। ওই সময় একজন অটোরিক্সা চালক তাকে বলে ‘এখান থেকে ফরিদপুরের গাড়ী পাওয়া যাবে না। আমার অটোতে ওঠেন। শিবরামপুরে গিয়ে ফরিদপুরের গাড়ীতে উঠিয়ে দিব’। এ কথা শুনে ওই নারী চিকিৎসক অটোরিক্সায় ওঠেন। অটোরিক্সাটিতে আরও দু’জন যাত্রী ছিল। বসন্তপুর এলাকার একটি নির্জন জায়গায় পৌঁছানোর পর অটোরিক্সাটি দাঁড় করিয়ে চালকসহ ৩ জনে মিলে জোরপূর্বক ওই নারী চিকিৎসককে মহাসড়কের পাশে নামিয়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
[৫] ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ওই নারী চিকিৎসক র্যাব-৮ এর ফরিদপুর ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগ করলে র্যাব অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ জনকেই গ্রেফতার করে রাজবাড়ী থানায় সোপর্দ করে এবং ২৫শে ফেব্রুয়ারী (২০১৮) ওই নারী চিকিৎসক বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
[৬] এরপর মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয় এবং দীর্ঘ স্বাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণের পর গতকাল ২রা সেপ্টেম্বর বিচারক আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্র পক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এড.উমা সেন মামলাটি পরিচালনা করেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ