গিয়াস উদ্দিন: [২] চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলাসহ সারাদেশে করোনাকালে কমিউনিটি সেন্টারগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল। লকডাউনে কমিউনিটি সেন্টারগুলোর প্রতিমাসের খরচের খাতা বন্ধ ছিল না। বন্ধ ছিলনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের বেতন। বিদ্যুৎ বিল ছিল করোনা সময় পূর্ব মাসের চেয়ে বেশি। বন্ধ ছিল না কমিউনিটি সেন্টারগুলোর ভাড়া।
[৩] বিয়ে মানেই শতশত লোকের নানা রকমের আত্মীয় স্বজনের মিলনমেলা জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন আর জমকালো অনুষ্ঠান মানেই হলো বিয়ে। এক সময় ছিল যখন বাড়ির আঙিনা, খেলার মাঠে কিংবা চলাচলের প্রশস্ত পথ আটকে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হতো। এখন বিয়ে অনুষ্ঠানের ভেন্যু হিসেবে মানুষ বেছে নিচ্ছে কমিউনিটি সেন্টার, ক্লাব, হোটেল ও হলরুমগুলোকে।
[৪] প্রত্যেক কমিউনিটি সেন্টার, হোটেল বা ক্লাব সব ভেন্যুরই রয়েছে কিছু নিয়ম-কানুন। ভাড়ার ক্ষেত্রে সাধারণ নিয়মগুলো একই। সব সেন্টারগুলোরই থাকে নিজস্ব রেফার, খানসামা, লাইটিং ব্যবস্থা, পানি ব্যবস্থা, বাজার সদাই করে রান্নার আয়োজন ব্যবস্থা। এছাড়া ডেকোরেশনের কাজও করে থাকে কর্তৃপক্ষ। হল ভাড়া ছাড়া বাকি কাজ করতে পারেন আপনি নিজেই। অথবা সবকিছুর দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন সেন্টারের ওপর তবে ভিন্নতা রয়েছে নামিদামি হোটেল এবং ক্লাবের ব্যাপারে। খাবারের জন্য মেনু হিসেবে মূল্য নির্ধারণ করা। তাই খরচ নির্ধারিত হয় লোক সংখ্যার ওপর। এছাড়া ১৫ শতাংশ ভ্যাট তো রয়েছেই।
[৫] কমিউনিটি সেন্টারের মালিক পক্ষের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে সারাদেশের ন্যায় পটিয়ার কমিউনিটি সেন্টারগুলোর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কমিউনিটি সেন্টার মালিকপক্ষ গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, স্টাফ বেতন, ম্যানেজারদের বেতন, পৌরসভার ট্যাক্স, এছাড়াও রেগুলার স্টাফ বেতন আরো অনেক রকমের খরচ তাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই যেন।
[৬] পটিয়া কমিউনিটি সেন্টার গুলোর মালিক পক্ষের একটাই দাবি স্বল্প পরিসরে যদি তাদের ক্লাব বা কমিউনিটি সেন্টারগুলো খুলে দেওয়া হয়। তাহলে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ গুলো করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবে মনে করেন।এ বেপারে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কমিউনিটি সেন্টারের মালিক কর্তৃপক্ষ। সম্পাদনা: সাদেক আলী