জাকির হোসেন, ঠাকুরগাঁও : [২] ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় রাধিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সুনীতি রাণী রায় ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার নাগরিকত্ব থাকলেও স্বামী দেবাশিষের সাথে সংসার করছেন ভারতে।
[৩] স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাধিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বাবার পরিচয় দেখিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে রাধিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম যোগদান করেন তিনি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবত তিনি মাঝে মাঝে বিভিন্ন অজুহাতে ছুটি নিয়ে যাতায়াত করেন ভারতে। এর মধ্যে করোনা কালে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে থাকার কথা থাকলেও তিনি বর্তমান অবস্থান করছেন ভারতে।
[৪] এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বাবা জগদিশ চন্দ্র রায় জানান, আমার মেয়ে বিয়ে হয়েছে নওগাঁ জেলায়। তার স্বামী ভারতের দিল্লিতে বসবাস করেন। এখন আমার মেয়ে সেখানেই আছে। করোনার জন্য আসতে পারছে না। মেয়ে মাতৃত্বকালীন ৬ মাসের ছুটি নিয়ে তার স্বামীর কাছে গিয়েছে।
[৫] এদিকে, মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও টানা ৩ মাস তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। এ নিয়ে দীর্ঘ ৯ মাসেও তিনি বাংলাদেশে ফিরেনি।
[৬] স্থানীয়রা বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের অনেক সমস্যা হচ্ছে। এছাড়ার আশেপাশে লোকজনের কাছে সুনীতি রাণীর বাড়ির ঠিকানা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, তার বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে। এরপর চাঁদপুর গ্রামে গিয়ে উক্ত ঠিকানায় প্রধান শিক্ষকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
[৭] তবে প্রধান শিক্ষিকা রাধিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সুনিতি রাণী রায়ের স্বামী দেবাশিষ সাহা নামে কোনো ব্যক্তি চাঁদপুর গ্রামে বসবাস করেন না। দেবাশিষ সাহা একজন ভারতীয় নাগরিক। তিনি দিল্লিতে বসবাস করেন। বর্তমানে সুনীতি রায় দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য গত নভেম্বর/২০১৯ ইং মাস থেকে এখন পর্যন্ত দিল্লিতে তার স্বামীর বাড়ীতে অবস্থানরত আছেন।
[৮] সহকারী শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক বলেন, সে মাতৃত্বকালীন ছুটি নেন সেই ছুটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও সে যোগদান করেননি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও করতে পারিনি। তাকে শোকজ করা হয়েছে।
[৯] এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা : হ্যাপি