জেরিন আহমেদ: [২] মঙ্গলবার বেলা এগারোটার দিকে মুজাফ্ফরের ছেলেরা কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। মৃত্যুর পঁচিশ বছর পর কবর থেকে মুজাফ্ফর আলী হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির অক্ষত লাশ উত্তোলন করেছে তার পরিবার। এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সদর উপজেলার ৮নং গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চরকাঠী গ্রামে।
[৩] আর এ ঘটনার সাক্ষী হতে মুজাফ্ফরের ছেলে আবুল বাসারের বাড়িতে উৎসুক লোকজন ভিড় করে ।
[৪] মুজাফ্ফরের বড় ছেলে আবুল বাসার বলেন, আমরা পরিবারের লোকজন ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে কবর খুঁড়ে বাবার লাশ উঠিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি। এখন আমরা আমাদের বৈদারাপুরের নতুন কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে বাবাকে পুনরায় দাফন করব।
[৫] বাসার আরও বলেন, আমরা যখন বাবার কবর উত্তোলন করতে যাই তখন বাবার কবর ছাড়া চারিদিক নদীতে ভেঙে গিয়েছিল। শুধু বাবার কবরটি অক্ষত ছিল। বাবার কবরের চারিদিক নদীতে ভেঙে গেলেও কবরের ভেতর একটুও পানি ওঠেনি।
[৬] গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন, আমি মুজাফ্ফর আলীর লাশ দেখেছি। শুধু লাশের শরীরের চামড়া শুকিয়ে গেছে এবং লাশের গায়ের কাপড়ও একই অবস্থায় আছে, একটুও নষ্ট হয়নি।
[৭] ঝালকাঠির ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে মমির যুগে বিভিন্ন ওষুধ দিয়ে লাশ প্রক্রিয়াজাত করা যেত। আসলেই লাশটি কবরে এভাবে অক্ষত ছিল কিনা, থাকলে তা গবেষণা করে বলতে হবে।