লিহান লিমা: [২] গত মার্চে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকে ৯৫তম দিনের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যের শহর পোর্টল্যান্ডে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ বিক্ষোভ চলছে। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ডানপন্থীদের সংঘর্ষে মারা যান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক জে বিশপ। তাকে কে গুলি করেছে তা শনাক্ত করা যায় নি। রয়টার্স/বিবিসি/এপি
[৩] বিশপের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ট্রাম্প তার আত্মার শান্তি কামনা করেন। এই সময় তিনি পোর্টল্যান্ডের ডেমোক্রেট মেয়র টেড হুইলারকে ‘শহরে মৃত্যু ও ধংসের জন্য দায়ী’ করেন এবং সমর্থকদের রাস্তায় নেমে আসতে উৎসাহিত করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এই বোকার হদ্দ মেয়রের দ্বারা পোর্টল্যান্ডে শান্তি ফিরবে না। তার পেছনে সমর্থন দেয়া বাইডেনও নেতৃত্ব দিতে অক্ষম।’
[৪]পাল্টা টুইটে টেড হুইলার বলেছেন, ‘আজ সকালে টুইটে যিনি প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পোর্টল্যান্ড আসার কথা বলেছেন, আপনাকে বলছি আপনি দূরে থাকুন।’ ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন বলেছেন, ‘ডান বা বাম, যে কারো দ্বারা সৃষ্ট সহিংসতার আমি নিন্দা জানাই। ট্রাম্পেরও তাই করা উচিত কিন্তু ট্রাম্প বেপরোয়াভাবে সহিংসতা উস্কে দিচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে একের পর এক উস্কানিমূলক টুইট করছেন, সমর্থকদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান না জানিয়ে দেশে ঘৃণা ও বিভেদ ছড়াচ্ছেন।’
[৫] ডেমোক্রেটরা অভিযোগ করছেন ট্রাম্পের বাগাড়ম্বরপূর্ণ নেতৃত্বের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। রিপাবলিকানরা বলছেন, ট্রাম্প শহরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন অন্যদিকে ডেমোক্রেট মেয়র এবং রাজ্য সরকারগুলো শহরগুলোতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হওয়ায় সহিংসতা, লুটপাট ও ভাঙচুর হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :