জেরিন আহমেদ : [২] খাগড়াছড়িতে দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের আগমন। এরই মধ্যে জেলার দীঘিনালা সীমান্তে সন্ধান মিলেছে প্রায় এক শ’ ফুট উঁচু ‘তুয়ারি মাইরাং’ ঝর্ণা। নতুনত্বের স্বাদ নিতে নিতে ঝর্ণাটি দেখতে স্থানীয় পর্যটক ছাড়াও বাইরে থেকে আসছেন অনেকে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও গাইড সুবিধা দিচ্ছেন স্থানীয়রা।
[৩] লোকালয় থেকে হেঁটে ঝর্ণায় পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র এক ঘণ্টা। উঁচু নিচু পাহাড়ে এখন চোখ ধাঁধানো সবুজ জুম। জুমের পাহাড় জুড়ে এখন সবুজ ধান, ভুট্টা, মারফা, হলুদসহ বিভিন্ন ফসলের বাহার। ঝর্ণায় যেতে জুমের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবে যেকেউ।
[৪] পাহাড় থেকে লতা বেয়ে নেমে হাঁটতে হয় পাহাড়ি ঝিরিতে। ঝিরির দুই পাশে উঁচু উঁচু টারশিয়ান যুগের পাহাড়। পথে পথে আরো কয়েকটি ঝর্ণা দেখা যায়। তবে বৃষ্টি কম হওয়ায় সেসব ঝর্ণায় তেমন পানি নেই। ঝিরি পথে হাঁটার পর দেখা মিলে সুবিশাল তুয়ারি মাইরাং ঝর্ণা। শীতল ঝিরি পথের শেষে পাথরের পাহাড় বেয়ে নামছে ‘তুয়ারি মাইরাং’। এতো উঁচু ঝর্ণা দেখে চোখ আটকে যাবে যে কারো। ঝর্ণার উল্টো দিকে পাথুরের পাহাড়। এমন ঝর্ণা দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা।
[৫] ঢাকা থেকে তুয়ারি মাইরাং দেখতে আসা কয়েকজন পর্যটক জানান, যারা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তারা আসতে পারবেন। ঝর্ণায় আসার পথ অত্যন্ত রোমাঞ্চকর। যারা পাহাড়ে আসতে পছন্দ করেন, ঝর্ণা পছন্দ করেন, এটি তাদের জন্য বেশ ভালো একটি জায়গা। এখানে প্রাকৃতিক অনুভূতি আছে। তবে প্রকৃতিকে প্রকৃতির মতো করে উপভোগ করতে হবে।
[৬] স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য হতেন ত্রিপুরা বলেন, ‘তুয়ারি মাইরাং নতুন ঝর্ণা। স্থানীয়রা বেড়াতে এলেও বাইরের পর্যটকরা খুব একটা আসেনি। যাতায়াতের পথ কিছুটা ঝুঁকিপুর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে রাস্তাসহ অবকাঠামো নির্মাণ করে দিলে সুবিধা হবে। পর্যটক বেড়াতে এলে গাইড সুবিধা দেয়া যাবে। সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ