ওমর ফয়সাল : [২] কথিত বন্দুকযুদ্ধে হেলাল উদ্দীন নামে এক প্রবাসীকে হত্যার অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার ওসিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহত হেলালের স্ত্রী শারমিন আক্তার গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার কৌশিক আহমেদের আদালতে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে হাটহাজারী সার্কেলকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
[৩] মামলার আসামিরা হলেন- ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আব্দুল্লাহ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওবাইদুল ইসলাম, এসআই মো. শাহাদাত হোসেন, রাশেদুল হাসান ও প্রবীণ দেব, এএসআই কল্পরঞ্জন চাকমা এবং ভূজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান। কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হেলাল উদ্দিন পশ্চিম ভূজপুর এলাকার জাফর আলমের ছেলে। তিনি ঘটনার কিছুদিন আগে প্রবাস থেকে দেশে আসেন।
[৪] মামলার বিবরণে বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ মে রাতে ভূজপুর থানার একদল পুলিশ হেলাল উদ্দিনকে ধর্ষণ মামলার আসামি দেখিয়ে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এদিন গভীর রাতে হেলালকে নিয়ে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে সাজানো অভিযানে নামে পুলিশ। এরপর ওসিসহ ছয় পুলিশ সদস্য হেলালকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেন। পরবর্তীতে হেলালের স্ত্রী শারমিন আকতার এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে ওসি ক্ষুব্ধ হন এবং তাঁকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখান।
[৫] মামলার বাদী শারমিন আকতার বলেন, আমার স্বামী ধষর্ণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন না এবং তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলাও ছিল না। আব্দুল মান্নান ওরফে কসাই মান্নানের সহায়তায় অর্থের বিনিময়ে পুলিশ আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
[৬] মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ভূজপুর থানার ওসি শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, দুই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের মতো চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে থানা পুলিশের একটি দল ভূজপুর থানাধীন আঁধারমানিকের গলাচিপা এলাকায় অভিযানে গেলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুযুদ্ধে এ ঘটনার প্রধান আসামি হেলাল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। তবে যে কেউ আইনের আশ্রয় নিতে পারে। আইনগতভাবে বিষয়টি মোকাবেলা করা হবে।গে সম্পাদনা: আরাফাত