লিহান লিমা: [৩] কংগ্রেসের কাছে পাঠানো চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বাহিনীর প্রধান জেনারেল মার্ক মিলি বলেছেন, ‘আগামী ৩ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হলে সেখানে জড়িত হবে না সেনাবাহিনী।’ তিনি আরো বলেছেন,‘মার্কিন সেনাবাহিনীর মূল নীতির ওপর আমার আস্থা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের মতো ঘটনা ঘটলে সেটি মার্কিন আদালত ও কংগ্রেস সমাধান করবে, সেনাবাহিনী নয়।’ সিএনএন/ফোর্বস
[৪] এরআগে হাউস আর্মড সার্ভিস কমিটির দুই সদস্য মিশিগানের প্রতিনিধি এলিসা ¯øটকিন ও নিউজার্সির প্রতিনিধি মিকি শেরিল সম্প্রতি সেনাবাহিনীর ওপর ট্রাম্পের প্রভাব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে মিলির কাছে জবাব চান।
[৫] প্রেসিডেন্ট পদের ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন ও সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প নির্বাচনে হারলে হোয়াইট হাউস ছাড়তে চাইবেন না। বাইডেন অভিযোগ করেন, ‘ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করতে পারেন এবং হোয়াইট হাউসে থাকার নিশ্চয়তার জন্য সেনাবাহিনীকে প্রণোদিত করতে পারেন।’
[৬]ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, তিনি নির্বাচনের ফলাফল নাও মানতে পারেন। করোনার কারণে নির্বাচন স্থগিতেরও প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।
[৭]গত সপ্তাহে মার্ক মিলির কাছে লেখা চিঠিতে সেনাবাহিনীর দুই অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল বলেন, ‘ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে সেনাবাহিনীর উচিত তাকে জোরপূর্বক সরিয়ে দেয়া। এবং আপনাকে সেই আদেশ দিতে হবে।’ তবে এই চিঠিকে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ও অবাস্তব বলে মন্তব্য করেন সামরিক বাহিনীর কর্তারা। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কখনোই সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে নি। এর আগে ১৮৭৬ সাল ও ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হলেও তা আইনসভা সমাধান করে নেয়।
আপনার মতামত লিখুন :