মুজতবা হাকিম প্লেটো: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু শেষ জীবনটা আত্মগোপনে কাটিয়েছেন। তাতে সম্প্রতি আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে। এটা ভারতের নেহেরু সরকার খুব ভালো করেই জানতো। তিনি জীবিত এ তথ্য প্রকাশ করলে নেতাজিকে হিটলারের অনুগামী হিসেবে আন্তর্জাতিক আদালতের সম্মুখিন করতে ভারত সরকার বাধ্য থাকতো। এই বিশাল জনপ্রিয় নেতাকে এমন বিচারের সম্মুখিন করলে ভারতে যে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হতো তা সামাল দেওয়া কংগ্রেস কেন, ভারতের কারো পক্ষেই সম্ভব ছিলো না।
অন্য দিকে বিচার করতে না দিলে বিশ^ রাজনীতি থেকে ভারত ছিটকে পড়তো। যে কারণে তার সাধু বেশে আত্মগোপন হাইপোথিসিস আমার মনযোগ কাড়ে। অন্য দিকে, নেহেরু ও সুভাষের যে রাজনৈতিক দন্দ্বের কথা আমরা জানি। তাতে এই আত্মগোপনে নেতাজির অবস্থান কংগ্রেসের জন্য সুবিধাজনক। সুভাষকে আর নেহেরুর রাজনৈতিক মঞ্চে মোকাবেলা করার প্রয়োজন পড়লো না। সুভাষ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়তে জার্মানির জোটে গিয়েছিলেন। তিনি হিটলারপন্থি ছিলেন না। ফলে হিটলারপন্থী হিসেবে বিচারের মুখোমুখি হওয়া নেতাজির জন্যও স্বস্তির ছিলো না। এই পরিস্থিতিতে আত্মগোপনের ফাঁদে তাকে ধরা দিতেই হয়েছে। কারণ যে স্বাধীন ভারত তিনি চাইছিলেন তার অনেকটাই পূরণ হয়েছে ব্রিটিশ মুক্ত, ইন্ডিয়া-পাকিস্তানে। কন ঠিক কিনা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :