শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর
আপডেট : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহিউদ্দিন আহমেদ: বিষয়, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ’!

মহিউদ্দিন আহমেদ: একটি বিষয় আমি খুব আমোদ এবং উদ্বেগের সাথে লক্ষ করি, প্রায় সকল ইস্যুতে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এতো মারামারি কাটাকাটি সত্ত্বেও একটি বিষয়ে তাদের মধ্যে প্রবল ঐক্যমত, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সম্প্রীতির উজ্জল উদাহরণ। আমাদের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নেতারা যখন তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে আমাদের প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টারকে কেক হাতে শুভেচ্ছা জানাতে যান তখন আমাদের প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টার, তিনি যে দলেরই হন না কেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিÑ তিনি আলবৎ ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি উজ্জ্বল উদাহরণ’ বাক্যটি আওড়াবেনই, আওড়াবেন। আর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নেতারা যারা প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টারের সাথে দেখা করতে গেছেন, তারা কোনো প্রতিবাদ না করেই সুবোধ বালক- বালিকার মতো বাক্যটি শুনে বেরিয়ে আসবেন। হতে পারে, মাত্র কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের কোথাও গুরুতর কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটে গেছে, তারপরও প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টারের এতো কাছে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ার পরও এই ধর্মীয় সংখ্যালঘু নেতাদের কোনো প্রতিবাদ নেই! বুঝলাম, ঠিক তখন প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টারের সামনে সরাসরি, মুখের উপর প্রতিবাদ শোভনীয় হবে না। কিন্তু ওখান থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করার জন্য তারা প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টারে সাথে আর একটি ভিন্ন এপয়েন্টমেন্ট তো চাইতে পারেন। বাংলাদেশের জন্মের পর থেকেই এই ট্রেডিশন চলে আসছে।

কয়েক বছর ধরে ভারতে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মুসলমানদের উপর বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে অত্যাচার, নির্যাতনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা এই দুই দেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, আক্রমন এবং বৈষম্যের নতুন যুক্তি খুঁজে পাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে আমাদের তো মনে রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্বের একটি মূল আদর্শ ছিল, আমাদের দেশটি একটি অসাম্প্রদায়িক, সেক্যুলার বাংলাদেশ হবে। আমাদের সেক্টর কমান্ডারদের একজন জেনারেল সি আর দত্ত বীর উত্তমের মৃত্যুতে এই বিষয়টা আজ বেশি বেশি মনে পড়ছে। মনে পড়ছে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জাতি-ধর্ম- বর্ণ-গোত্র-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি, পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমরা মুক্তিযুদ্বের সেই আদর্শের বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে বেশ কিছুটা দূরে সরে গেছি এবং মুক্তিযুদ্বের বাকি যা আছে সেখান থেকেও সরে যাওয়ার প্রসেসে দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়