শিরোনাম
◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫ ◈ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে: প্রেস সচিব ◈ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফের গরম হচ্ছে রাজপথ ◈ ফরিদপুরের কুমার নদে ট্রলার-স্প্রিটবোর্ডে প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্রের মহড়া ◈ ‎ব্রিটিশ ট্যোবাকো কোম্পানির তামাকবাহী ট্রাক থেকে গাঁজাসহ আটক-৩ ◈ ঢাকা-ওয়াশিংটন সামরিক মহড়া, নজর রাখছে ভারত ◈ রোববার ভারত-পাকিস্তান এ‌শিয়া কা‌পে আবা‌রো লড়াই‌য়ে নাম‌ছে

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ০৭:৩০ সকাল
আপডেট : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ০৭:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আন্দামানিদের সমাজে করোনার হানা

ডেস্ক রিপোর্ট : আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে গ্রেট আন্দামানিজ গোষ্ঠীর পাঁচ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবে তাদের কারো মধ্যেই কভিডের লক্ষণ দেখা দেয়নি। সংক্রমিতদের পোর্ট ব্লেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেট আন্দামানিজ মানবগোষ্ঠী দুনিয়া থেকে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে আছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে কভিড-১৯ চিকিৎসাবিষয়ক কর্মকাণ্ডের প্রধান ডা. অভিজিৎ রায় বলেছেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে কোনো লক্ষণ নেই। তার সবাই শঙ্কামুক্ত। আমরা তাদের সবাইকে পোর্ট ব্লেয়ারে নিয়ে এসেছি। তাদের হাসপাতালে পৃথক উইংয়ে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।’

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গ্রেট আন্দামানিজ গোষ্ঠীকে পার্টিকুলারলি ভালনারেবল ট্রাইবাল গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বর্তমানে এ গোষ্ঠীর জনসংখ্যা মাত্র ৫০-৬০ জন। এরা সবাই নর্থ ও মিডল আন্দামান ডিস্ট্রিক্টের স্ট্রেইট আইল্যান্ডে বাস করে।

সম্প্রতি স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ গোষ্ঠীর সব সদস্যের আরটি-পিসিআর টেস্ট করেন। এর পরই পাঁচজন আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানা যায়।

ডা. অভিজিৎ রায় বলেন, আমরা সতর্কতা হিসেবে আক্রান্তদের হাসপাতালে আইসোলেশনে রেখেছি। লক্ষণ ছাড়া তারা ১০ দিন পার করলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। তারপর তারা তাদের দ্বীপে যেতে পারবে এবং সেখানে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

সরকারি কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যমতে, গ্রেট আন্দামানিজ গোষ্ঠীর অনেকে আধুনিক জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। অনেকে পোর্ট ব্লেয়ারে সরকারি দপ্তরে চাকরিও করছে।

গ্রেট আন্দামানিজরা মূলত ছিল একটি শিকারি গোষ্ঠী। এখন তাদের জীবিকা মাছ ধরা। আর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার জন্য নির্ভর করতে হয় সরকারের ওপর। গত কয়েক দশকে এ বিপন্নপ্রায় মানবগোষ্ঠীর সদস্যসংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।বণিক বার্তা

ইন্ডিয়া টুডে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়