শিরোনাম
◈ রিটার্ন না দেওয়া টিআইএনধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশ ◈ সকালে উঠেই এক লিটার পানি পান: কতটা উপকারী? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? ◈ তারেক-জুবাইদার দুর্নীতির মামলায় ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’, পূর্ণাঙ্গ রায়ে খালাস হাইকোর্টে ◈ বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই তরুণীকে নিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ (ভিডিও) ◈ জুলাই স্মরণে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের প্রকম্পিত ঢাবি (ভিডিও) ◈ পর্যাপ্ত অর্থ ও হোটেল বুকিং না থাকায় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ৯৬ বাংলাদেশি আটক ◈ বাড়ির নিচতলায় গ্যারেজে বসে চোখের পানি ফেলছেন, ছেলের বিরুদ্ধে মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ◈ ইংল‌্যা‌ন্ডের লর্ডসে ডুবলো ভার‌তের রণতরী, সিরিজে এ‌গি‌য়ে গে‌লো ইং‌রেজরা ◈ কানাডার টরন্টো শহরে ইসকনের রথযাত্রায় ডিম নিক্ষেপ, ঘটনায় ভারতের গভীর উদ্বেগ (ভিডিও) ◈ একটি দল লম্বা লম্বা কথা বলা ছাড়া সুকৌশলে চাঁদা ও হাদিয়া নেওয়া ছাড়া কোনো কাজ করে না: মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ০৫:২২ সকাল
আপডেট : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ০৫:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হিরোশিমায় বোমা বিস্ফোরণের ৫৯ বছর পর গোপন ভিডিও প্রকাশ করল রাশিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট : জাপানের হিরোশিমার বুকে আমেরিকা ১৯৪৫ সালে যে পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল, ১৯৬১ সালেই তার থেকে প্রায় তিন হাজার গুণ শক্তিশালী বোমার পরীক্ষা চালিয়েছিল সোভিয়েত রাশিয়া। এতোদিন পর সেই বিস্ফোরণের ভিডিও সামনে আনল রাশিয়ার স্টেট নিউক্লিয়ার এনার্জি কর্পোরেশন ‘রসঅ্যাটম’।

সম্প্রতি প্রায় ৪০ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে বোমাটিকে সুরক্ষা কবচে মুড়ে নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে।

পোক্যাটম বা রসঅ্যাটম-এর ইউটিউব চ্যানেলে ২১ আগস্ট এই গোপন ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। ২০০৭ সালের ১ ডিসেম্বর রসঅ্যাটমের প্রতিষ্ঠা করেন ভ্লাদিমির পুতিন। রাজধানী মস্কোতে এর প্রধান কার্যালয়। নাম থেকেই পরিষ্কার যে, এর কাজ-কর্ম পারমাণবিক শক্তি নিয়ে।

রসঅ্যাটমের প্রকাশ করা ৫৯ বছরের পুরনো এই ডকুমেন্টারিতে জানানো হয়েছে, ৫০ মেগাটনের এই হাইড্রোজেন বোমাটি দিয়ে উত্তর মহাসাগরে অবস্থিত ছোট্ট দ্বীপ নোভায়া জেমলায়ায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। রুশ ভাষায় বোমাটির নাম ‘জার বোম্বা’। আর বোমাটি নিয়ে যাওয়া হয় রাশিয়ার ‘টিইউ-৯৫’ বিমানে। প্রথমে পরীক্ষাগার থেকে সেটি ট্রেন লাইন মারফত নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে সেটিকে বিমানে তোলা হয়। বোমাটি প্রায় ২৬ ফুট লম্বা এবং ২৭ টন ওজনের।

১৯৬১ সালে ৩০ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে রুশ বিমানটি থেকে প্যারাসুটে করে বোমাটি ফেলা হয় রাশিয়ার দখলে থাকা ওই ছোট্ট দ্বীপটি লক্ষ্য করে। তবে বোমাটি মাটি স্পর্শ করেনি, ভূমি থেকে প্রায় চার হাজার মিটার উপরে আকাশেই ফাটানো হয়। বিমান থেকে প্যারাসুটে করে ফেলার পর কাউন্টডাউন শুরু হয়, নির্দিষ্ট সময়ে গোটা আকাশ আলো করে বিস্ফোরিত হয় হাইড্রোজেন বোমাটি। সেই সঙ্গে তৈরি হয় ব্যাঙের ছাতার মতো মেঘ, যা কয়েক কিলোমিটার উঁচু ছিল। এই গোটা ঘটনা বিমান থেকে ক্যামেরায় ধরা পড়ে। শুধু বিমান নয় আরও অন্য ক্যামেরা থেকেও ধরে রাখা হয় ঘটনাটি। কয়েকশো কিলোমিটার দূর থেকে দেখা যায় সেই আলোর ঝলকানি।

আমেরিকা ও সোভিয়েত রাশিয়া- দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জার প্রতিযোগিতার ফল এই হাইড্রোজেন বোমা। দ্বিতীয় বিশ্বুযুদ্ধে আমেরিকা জাপানের বুকে পর পর দু’টি বোমা ফেলে, যার ভয়াবহ বিধ্বংসী ক্ষমতা দেখে গোটা মানবজাতি শিউরে উঠেছিল। জাপান এখনও সেই বিস্ফোরণের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। আর কোনও দেশ এ পর্যন্ত পরমাণু বোমার প্রয়োগ না করলেও অনেকেই তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, রাশিয়ার এই হাইড্রোজেন বোমার ক্ষমতা জাপানে ফেলা বোমার থেকে তিন হাজার ৩৩৩ গুণ বেশি। এটি পাঁচ কোটি টন ট্রাই নাইট্রো টলুইনের ক্ষমতার সমান।

-আনন্দবাজার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়