লিহান লিমা: [২] রিপাবলিকান কনভেনশনের অনেক মুহুর্তই যুক্তরাষ্ট্রের হিচ আইন লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য সমালোচকদের। সরকারী কর্মীদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ হ্রাস করতে ১৯৩৯ সালে এই আইন চালু করা হয়। ওয়াশিংটন পোস্ট
[৩]এই আইনে একমাত্র প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট ব্যতীত প্রশাসন এবং সরকারী কোনো কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকাকালীন নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। তবে অফিস সময়ের বাহিরে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, তহবিল সংগ্রহ এবং পছন্দের প্রার্থীর প্রতি মত জানানোকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
[৪]স্থানীয় সময় মঙ্গলবারের সম্মেলনে তিন ইস্যুতে রিপাবলিকান দল হিচ আইনের লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
[৫]প্রথমত, হোয়াইট হাউসে নতুন নাগরিকদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রনিরাপত্তা মন্ত্রী চাদ উলফ এবং নৌ-বাহিনীর দুই সদস্যের উপস্থিত ছিলেন। ট্রাম্প কর্তৃক নাগরিকত্বের সনদ প্রদানের এই ভিডিও সম্মেলনের অংশ হিসেবে প্রচারিত হয়।
[৬]দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলে রাষ্ট্রীয় সফররত অবস্থায় জেরুজালেম থেকে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার জন্য ভিডিও বার্তা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
[৭]তৃতীয়ত, হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেন থেকে নির্বাচনী ভাষণ দেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। ঐতিহ্য অনুসারে প্রেসিডেন্ট এবং তার পরিবার পুনঃনির্বাচনী প্রচারণার জন্য হোয়াইট হাউস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু ট্র্রাম্প তার ধার ধারেন নি। হিচ আইনে মেলানিয়ার বক্তৃতা দেয়ায় কোনো বাধা না থাকলেও রোজ গার্ডেনের আয়োজনের জন্য হোয়াইট হাউসের কর্মীদের ব্যবহার করা নিষেধ।
[৮] আইন লঙ্ঘনে এক মাসের জন্য চাকরি থেকে বিনা বেতনে অব্যাহতির কথা থাকলেও অতীতে যারা হিচ আইন লঙ্ঘন করেছেন তাদের পদ অনুযায়ী সতর্ক এবং জরিমানা করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের সাবেক পরামর্শক কেলিনি কনওয়ে, জাতিসংঘে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি, ওবামা প্রশাসনের মন্ত্রী জুলিয়ান কাস্ত্রো, কাথলেন সেবিলিয়ুন এই আইন লঙ্ঘন করেছিলেন।