লাইজুল ইসলাম: [২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাসিনুর রহমান বলেন, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, ইন্ডিয়া ও মেক্সিকো এসব দেশের মতো আমরা দীর্ঘ মেয়াদী কোভিড সংক্রমণের মধ্যে পরেছি। যার থেকে বের হওয়া বেশ কঠিন হতে পারে। এক দুই মাস আগেও প্রথম দিকে আমাদের সুস্থতার হিসেব ভালো ছিলো। কিন্তু এখন তা পরিবর্তন হয়েছে। সেটা খুব সুখকর না।
[৩] হাসিনুর রহমান বলেন, কোভিডে বৈশ্বিক সুস্থতার হার ৬৮ শতাংশ, আর আমাদের ৬২ শতাংশ। ভারতে এ হার ৭৬ ও পাকিস্তানে ৯৫ শতাংশ। সুস্থতার হারের দিকে তাকালে বোঝা যাবে, এক্ষেত্রে অনেকখানি পিছিয়ে রয়েছি।
[৪] হাসিনুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহুর্তে ১ লাখ ৮ হাজার। এই মুহুর্তে আইসিইউ ও সাধারণ বেডে ৪৪০০ রোগি হাসপাতালে ভর্তি। বাকি রোগিরা কোথায়। তারা বাসায় বা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এসব কারণেও সুস্থ্যতার হিসেব নিয়ে গরমিল রয়েছে আমাদের।
[৫] অধ্যাপক ডা. হাবিব এ মিল্লাত বলেন, মৃত্যুহার মাত্র ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। সেই হিসেবে সুস্থতার হার ও মৃত্যুর হারের মধ্যে বেশ বড় ধরনের একটি শূন্যস্থান রয়ে গেছে। এই অবস্থায় আমাদের আরো নির্ভুল তথ্য প্রয়োজন। সেটি বের করতে পারলে সুস্থতার হার হয়তো ৬২ থেকে আরো অনেক ওপরে চলে আসতো।
[৬] ডা. মিল্লাত বলেন, সংক্রমণ কেমন হচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে না। এর কারণ টেস্ট কম হওয়া। তবে শনাক্তের হার কমছে। গত এক সপ্তাহের হিসেবে দেখা গেছে ২০ এর নিচে। কিন্তু এই হিসেবে আসল চিত্র ফুটে উঠছে না। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :