শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ০৮:৪৮ সকাল
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ০৮:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না

গোলাম সারোয়ার, আশুগঞ্জ প্রতিনিধি: সরকারি ভাবে গত ৭ মে থেকে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয়ে চলতি মাসের ৩১ আগস্ট শেষ হবে। তবে এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ধান-চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

[৩] দেশের হাওর অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধানের মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকাম ঘাট। এখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার হাওরাঞ্চলে উৎপাদিত ধান কৃষক ও ব্যবসায়ীরা নৌ-পথে আশুগঞ্জ মোকাম ঘাটে নিয়ে আসেন।

[৪] প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই সব ধান বেচা-কেনা। তবে এবার হাওর অঞ্চলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান উৎপাদিত হয়েছে। মোকামেও বেচাকেনা ভাল হচ্ছে। তারপরও মিল মালিক চুক্তি অনুযায়ী এবার চাল দিতে পারছে না। তার জন্য তারা দাবি করছেন, বাজারে ২৬ টাকার উপরে প্রতি কেজি ধান। সেখানে চাতালকলে প্রক্রিয়াজাত করে ৩৬ টাকা চাল দেওয়া এক বারেই সম্ভব। বর্তমানে ধানের বাজার অনুযায়ী চাল প্রতি কেজি এখন ৪২ টাকার উপরে। ফলে গুদামে ৩৬ টাকা কেজি চাল দেওয়া সম্ভব না। প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৬ টাকা উপরে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

[৫] দেশের হাওর অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধানের মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকাম ঘাটে ব্যাপক পরিমাণ ধান বেচা কেনা হলেও সরকারি গুদামে ধান-চাল দিতে তেমন আগ্রহ নেই মিল মালিকদের।

[৬] মিল মালিকরা দাবি করছেন, ধানের বাজারের সাথে চালের বাজারের কোন মিল নেই। ফলে তারা এবার চুক্তি করেও সরকারি গুদামে ধান- চাল দিতে পারছেন না। তবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলছেন চুক্তি মোতাবেক মিল গুলোকে চাল দিতে হবে। নতুবা শর্ত ভঙ্গ করলে মিলবে বিভাগীয় শাস্তি। এই সংক্রান্ত পরিপত্রও জারি করেছে খাদ্য অধিদপ্তর।

[৭] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে ১৯,১৪৮ মে. টন। সংগ্রহ করা হয়েছে ১১,৭৮১ মে. টন। আর চাল সংগ্রহ করা হবে ৪০,৯৯৫ মে. টন। সংগ্রহ করা হয়েছে ২৪,১৮০ মে. টন। আতব চাল সংগ্রহ করা হবে ১৪,৩৭২ মে. টন। আর সংগ্রহ করা হয়েছে ১০,৩৮৮ মে. টন। সরকারিভাবে ধানের মূল্য ২৬, আতব চাল ৩৫, আর সিন্ধ চাল ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সংগ্রহ অভিযান চলবে চলতি আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত। সময় আছে মাত্র ০৯ দিন।

[৮] এই সময়ের মধ্যে বাকি ধান-চাল সংগ্রহ কবে, কি তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলা চাতাল কল মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল আহম্মেদ জানান এবার মিল মালিকদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এসময় তিনি প্রণোদনাসহ সময় বৃদ্ধি করার জন্য দাবি জানান।

[৯] জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানান চুক্তি মোতাবেক মিলগুলোকে চাল দিতে হবে। শর্ত ভঙ্গ করলে মিলবে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। সময় বৃদ্ধি কিংবা প্রণোদনার বিষয়টি আমার জানা নেই। সম্পাদনা : হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়