শরীফ শাওন: [২] জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল হক সরদার বলেন, গণনায় কেউ ফাঁকিবাজি করার চেষ্টা করলে তাদের ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে আমরা শনাক্ত করতে পারব। প্রথমে বিদেশে বাংলাদেশিদের গণনা ও পরে দেশে থাকা বিদেশিদের গণণার আওতায় আনা হবে।
[৩] তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, আরও অত্যাধুনিক তদারকিতে হবে এবারের জনশুমারি প্রকল্প। কাজগ কলমে গণনা নাও হতে পারে। প্রায় ১৮শ কোটি টাকার এ প্রকল্পে খরচ ও সঠিক ফলাফল পেতে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
[৪] পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এতে আগামী ১০ বছর পর জনশুমারির প্রয়োজন হবে না। হয়তো এটাই শেষ জনগণনা হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন আর অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বাসযোগ্য পরিসংখ্যানের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
[৫] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, সুপারভিশন থেকে শুরু করে ডাটা সংগ্রহে দক্ষ জনবল থাকলে প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এসডিজির বাস্তবায়নও চলে আসবে।
[৬] ১৯৭৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচবার আদমশুমারি হয়েছে। প্রতিবারই গণনায় বাদ পড়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এছাড়াও প্রকৃত জনসংখ্যা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যাপ ১৪ কোটি ৪০ লাখ। ১০ বছরের গড় বৃদ্ধিতে সরকারি ধারনায় তা বর্তমানে ১৬ কোটি। তবে পত্রপত্রিকা ও রাজনৈতিক আলাপে কখনো ১৭,১৮ বা ২০ কোটি বলা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :