কায়সার হামিদ : [২] কক্সবাজারের উখিয়ার সমুদ্র উপকূল মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন ২ কিলোমিটার ঝাউ বাগান সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার মৌসুমে সাগরের জোয়ারের তীব্র আঘাতে সারি সারি ঝাউবীথি হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে সৌন্দর্য বর্ধন বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বসবাসরত ভূমিহীন ৪০০ পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে।
[৩] কোটি কোটি টাকা খরচ করে মেরিনড্রাইভের সৌন্দর্য বর্ধন করা হলেও তা রক্ষায় দেখা যাচ্ছে না তেমন কোনো উপযোগী উদ্যোগ। প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানি এই বাগানে প্রবেশ করে। এ ভাবে ভাঙ্গন চলতে থাকলে ঝাউ বাগান বিলীন হয়ে আঘাত আনবে সরাসরি মেরিনড্রাইভ সড়কে।
[৪] সচেতন নাগরিক সমাজের অভিমত, স্বপ্নের মেরিনড্রাইভ সড়ক লক্ষ মানুষের বিনোদন ও পর্যটন শিল্পের মধ্যমনি হলেও আজ দিন দিন হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে। তা সরাসরি প্রভাব ফেলবে জাতীয় অর্থনীতিতে। তাছাড়া সমুদ্র উপকূলীয় ঝাউ বাগানে প্রায় ভূমিহীন পরিবার গুলো দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত বাড়ি-ঘর ও জীবনযাপন হুমকির মুখে পড়েছে।
[৫] পশ্চিম সোনার পাড়া ঝাউ বাগানে বসবাসকারী নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে ১০-১২টি করে ঝাউগাছ ভেঙে যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আমরা খুবই আতঙ্কে বসবাস করছি।
আমরা ভূমিহারা হয়ে এখানে বসবাস করতাম কিন্তু এভাবে ঝাউগাছ ও সমুদ্র পাড়ের ভাঙনের কারণে আমরা এখানে বসবাস করার মতো সাহস পাচ্ছি না।
[৬] স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে জোয়ারের পানি মেরিনড্রাইভ ছুঁই ছুঁই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া এই প্রাকৃতিক সম্পদ গুলো এভাবে ধ্বংস হয়ে গেলে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ইতোমধ্যে ঝাউ বাগানে বসবাসরত অনেক ভূমিহীন মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে সমুদ্রে তলিয়ে গেছে।
[৭] জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী জানান, সাগরের করাল গ্রাস থেকে ঝাউবীথি রক্ষা করার জন্য সরকারি ভাবে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবি।
দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হলে রক্ষা পাবে দেশের অন্যতম এই প্রাকৃতিক সম্পদ ও পর্যটন শিল্প।