দেবদুলাল মুন্না:[২] এ চার বাংলাদেশি হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর হাসান সৈকত, ব্র্যাকের প্রকৌশলী রিজভী হাসান, অনুবাদক সিফাত নুর ও আঁখি। গত ১৯ আগস্ট ছিল জাতিসংঘ ঘোষিত ‘বিশ্ব মানবিক দিবস’। এদিন এ ঘোষণা দেওয়া হয়। খবর পলিটিকো ও জাতিসংঘের ওয়েবসাইট।
[৩] আর্ত-মানবতার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্যে এ পুরষ্কার দেওয়া হয়। কোভিড মহামারির সময়ে অন্যদের মতো জীবন রক্ষার্থে গৃহবন্দি হয়ে না থেকে আক্রান্তদের পাশে এবং অসহায় মানুষদের ‘সহায়’ হিসেবে ছিলেন।
[৪] জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে,কোভিডের সময় তানভীর সৈকত প্রান্তিক মানুষকে সহায়তা দেওয়া শুরু করেন। এপ্রিলের শুরু থেকে টানা ১১৬ দিন কার্যক্রম চালানোর পর করোনার প্রকোপ কমলে তিনি সুনামগঞ্জে যান এবং বন্যাকবলিত মানুষকে সহায়তা দেন। বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা গ্রহণ করে এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন সৈকত।
[৫] আঁখিও মাস্ক তৈরি করে একই কাজ করেন। আঁখিকে পুনর্বাসনে সহায়তা দেয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন’।
[৬] রিজভী কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরের নারীদের কাউন্সেলিংসহ নানা দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেন। তার পাশে ছিল ব্র্যাক ও ইউনিসেফ।
[৭] সিফাত নূর চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ট্রান্সলেটর উইদাউট বর্ডারস নামে একটি সংস্থায় কাজ শুরুর পর এক লাখ ১৫ হাজারের বেশি শব্দ বাংলায় অনুবাদ করেছেন তিনি। যা কোভিড চিকিৎসায় সাহায্য করেছে।