মোজাফফর হোসেন : আমার শিক্ষার দৌড় বোঝেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ দিকেও জানতাম শব্দটি ‘পরস্ত্রীকাতর’। পরের স্ত্রীর প্রতি মানুষ কেন কাতর হবে সেটা বুঝতে আমাকে ১৮(+) বোধের অধিকারী হতে হয়েছিল এবং আমার কাছে মনে হয়েছিল যথার্থই, পুরুষ মাত্রই তো পরস্ত্রীকাতর। তাহলে নারীদের ক্ষেত্রে কী হবে? আমি তখন দুয়েকজন বান্ধবীকে ‘পরস্বামীকাতর’ বলে ডেকেছি। কিন্তু শব্দটা চালু করতে পারলাম না। পরে জেনেছি, ভুল হয়েছে মূলে। শব্দটি আসলে ‘পরশ্রীকাতর’। বাঙালি মাত্রই পরশ্রীকাতর।
বঙ্গবন্ধুও জেলে বসে (আমি অবশ্য ভেবেছিলাম জ্যামে সিএনজিতে বসে) শব্দটি নিয়ে ভেবে জানাচ্ছেন, ‘পরশ্রীকাতরতা ও বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে। বোধ হয় দুনিয়ার কোনো ভাষাতেই এই কথাটা পাওয়া যাবে না, পরশ্রীকাতরতা।’ কিন্তু আমার জিজ্ঞাসা সেখানে না। আমার প্রশ্ন হলো, আমি যে এতো গবেষণা করে জেন্ডার ব্যালেন্স করতে গিয়ে ‘পরস্বামীকাতর’ আবিষ্কার করলাম তার কী হবে? ‘পরস্ত্রীকাতর’ তো মিথ্যা নয়? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :