ইমরুল শাহেদ : [২] উত্তর কোরিয়ায় কুকুরের মাংস সুস্বাদু খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। নিজ সীমানায় আবদ্ধ উত্তর কোরিয়ার গরীব শ্রেণি পোষে শূকর এবং ধনীরা পোষে কুকুর। দেশটির নেতা কিম জং-উন চান ধনীরা তাদের পোষা কুকুরগুলো প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করুক। টাইমসনাউ নিউজ, নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড
[৩] এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া এখন খাদ্য সরবরাহের সংকটে ভুগছে। রেস্তোরাঁগুলো যাতে মাংস সংকটে না পড়ে এজন্য পোষা কুকুরগুলো প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[৪] নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রম অবনতির দিকে যাচ্ছে। একইসঙ্গে দেশ ধাবিত হচ্ছে খাদ্য সংকটের দিকে। এই পরিস্থিতিতে যাতে জনঅসন্তোষ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য তিনি দ্রুত এই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভেবেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
[৫] দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম সোচুন ইলবোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি সূত্র বলেছে কিম কুকুর পোষা নিষিদ্ধ করেছেন। গত জুলাই মাসে তিনি এটাকে বুর্জোয়া ধারার কলঙ্কিত প্রবণতা বলে উল্লেখ করেছেন।
[৬] একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ যেসব বাড়িতে পোষা কুকুর রয়েছে সেগুলো শনাক্ত করে মালিককে কুকুর দিয়ে দিতে বলছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জোর করে বাড়ি থেকে কুকুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু কুকুর রাষ্ট্র পরিচালিত চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর কিছু রেস্তোরাঁয় বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।