শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট, ২০২০, ০৭:৪৬ সকাল
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০২০, ০৭:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিদেশ যাবেন ১২ কর্মকর্তা, সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্প

ডেস্ক রিপোর্ট : করোনা মহামারীর মধ্যেও বিদেশ সফরের আয়োজন থামছেই না। এবার যাচ্ছেন ১২ কর্মকর্তা। ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় হচ্ছে এই সফর। এজন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। প্রতিজন কর্মকর্তার পেছনে ব্যয় হবে ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকার বেশি। এছাড়া বিদেশি পরামর্শকের পকেটে যাবে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ১৪ জুলাই প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এখন বাস্তবায়ন শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সোলার প্যানেল স্থাপন নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সোলার নিয়ে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। আমরা বিদেশে যাব কেন? এ দেশের সাফল্য দেখতে বরং বিদেশিদের আসার কথা। পাশাপাশি এ দেশ থেকে পরামর্শক হিসেবে বিদেশে যাওয়া উচিত। তাছাড়া কোভিড-১৯ এর প্রভাবে দেশের রাজস্ব আদায় ব্যাপক হারে কমে গেছে। এ অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অর্থের জোগান দেয়াটাই যেখানে বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে অপ্রয়োজীয় বা অযাচিত ব্যয় পরিহারের বিকল্প নেই। সেখানে নতুন করে বিদেশ ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা কি? পরিকল্পনা কমিশনের উচিত ছিল এসব ব্যয়ের বিষয়ে লাগাম টানা। কিন্তু সেটি না করেই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, পার্বত্য জেলার অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলকে আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যাবে না। ফলে সেসব অঞ্চলে সোলার ফটোভোল্টাইক সিস্টেমের মাধ্যমে সেসব এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এজন্য ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। গত এপ্রিল মাস থেকে শুরু করে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। এটি রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, কাউখালী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বরকল, রাজস্থলি, জুরাইছড়ি এবং নানিয়ারচর উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। এছাড়া বান্দরবান জেলার রুমা, লামা, রোয়াংছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি, থানচি, বান্দরবান সদর ও আলীকদম উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছড়ি সদর, মাটিরাঙ্গা, পানছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড়, দিঘিনালা, গুইমারা, মহালছড়ি এবং মানিকছড়ি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পের ব্যয় বিভাজন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১২ জন বৈদেশিক ভ্রমণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা, যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ। কন্সালটেন্সি সেবা খাতে ২৭৩ জনমাস পরামর্শকের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। যেটি মোট প্রকল্প ব্যয়ের ১ দশমিক ০৩ শতাংশ। প্রকল্পের আওতায় অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ খাতেও রাখা হয়েছে বড় অঙ্কের বরাদ্দ। ৪২ হাজার ৫০০ জনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা, মোট প্রকল্প ব্যয়ের ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

সূত্র জানায়, উন্নয়ন প্রকল্পে অপচয় বন্ধে কঠোর হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের আওতায় পণ্য ক্রয়ে অতিরিক্ত ব্যয় প্রস্তাব, অহেতুক বিদেশ ভ্রমণ, আপ্যায়নসহ বিভিন্ন ব্যয়ে লাগাম টানতে ২৯ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব বা সিনিয়র সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে প্রকল্প তৈরিতে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ এবং বিদেশ সফরসহ অহেতুক ব্যয় পরিহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এমনকি (ডিপিপি) উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব তৈরিতে ভুল-ক্রটির জন্য শান্তি নিশ্চিতের বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনায়। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানান, এখন থেকে প্রকল্পের আওতায় অহেতুক ব্যয় বরদাশত করা হবে না। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়ার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এসব বিষয় নিয়ে অনেক সময় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। সরকারপ্রধান হিসেবে তিনিও অবহিত রয়েছেন। এর আগে একনেক বৈঠকে প্রকল্পে অহেতু ব্যয় পরিহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর প্রকল্পের আওতায় গাড়ি ক্রয় এবং বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করা হয়েছে।যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়