সমীরণ রায় : [২] রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জে আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করি। আমি বলেছিলাম, হিটলার-মুসোলিনি থেকে শুরু করে কোনো স্বৈরাচারই টিকেনি, এ দেশেও স্বৈরাচার টিকবে না। এই অপরাধেই কিছুদিন পর গ্রেপ্তার হই। জেলখানার ভেতরেই জিয়াউর রহমান তার সামরিক সচিব কর্নেল মাহফুজুর রহমানের মাধ্যমে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পাঠান। বলা হয়েছিল, প্রস্তাবটি না মানলে ২৫ বছর জেলে থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারিনি বলে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেই।
[৩] রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতা ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি শুরু করেছিল। ইতিহাসের নরকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘাতকচক্র কুখ্যাত “ইনডেমনিটি আইন” পাশ করে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র পরাজিত হলেও দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্ত কখনো থেমে থাকেনি। ঘাতকচক্রের চক্রান্তের চূড়ান্ত বহি:প্রকাশই ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ড।
[৪] আবদুল হামিদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তাঁর নীতি ও আদর্শ মুছে ফেলা যাবে। কিন্তু তাদের সে চক্রান্ত এ দেশের মুক্তিকামী জনগণ সফল হতে দেয়নি। তাইতো জীবিত মুজিবের চেয়ে অন্তরালের মুজিব অনেক বেশী শক্তিশালী। দেশ ও জনগণের যে কোন ক্রান্তিকালে বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শই আমাদের পথের দিশা দেখায়।
[৫] তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ সব শহীদদের প্রতি।
[৬] শনিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনে দেওয়া রেকর্ডকরা এক সাক্ষাতকারে বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে তিনি এসব কথা বলেন। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব