ডেস্ক রিপোর্ট : ইসরায়েলের সঙ্গে আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে পারছে না মুসলিম দেশগুলো। কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে সবাই। তবে এর মধ্যে তুরস্ক আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের হুমকি দিয়েছে।
শুক্রবার তুর্কি প্রেসিডেন্টের এমন হুমকির কথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
ইসরায়েলকে দখলদার হিসেবে অভিহিত করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, অন্যায্যভাবে পশ্চিম তীর দখল করে ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে ইসরায়েল। প্রতিবাদে অধিকাংশ আরব দেশ ঐতিহাসিকভাবেই ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন থেকে বিরত থেকেছে। কিন্তু এর মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সম্মত হয়ে মুসলমানদের ঐক্যের পিঠে ছুরি মেরেছে। তিনি বলেন, তুরস্ক আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে আর আগ্রহী নয়।
অবশ্য, ইসরায়েলের সঙ্গে আরব আমিরাতই প্রথম সম্পর্ক স্থাপন করেছে, তা নয়। এর আগে মিসর ও পরে জর্ডানও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
আমিরাতের সঙ্গে এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। কিন্তু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জোরালোভাবে এটা প্রত্যাখ্যান করেছে। এরদোয়ান ও তার সরকার ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলিদের আচরণের কারণে বহু বছর ধরেই দেশটির কঠোর সমালোচনা করে আসছে।
আমিরাত-ইসরায়েল চুক্তির কিছুক্ষণ পরই তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আরব আমিরাত ভণ্ডামিপূর্ণ মনোভাব নিয়ে এই চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এটা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ আরব আমিরাতের এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডকে কখনো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে না বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। নয়া দিগন্ত
আপনার মতামত লিখুন :