[২] শরীফ শাওন : [৩] ঈদ যাত্রার ২০১ সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্যান্য যানবাহনের ৮৮টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১০৬ জন নিহত ও ৬৫ জন আহত হয়। যা মোট নিহতের ৪৩.০৮ শতাংশ এবং মোট আহতের ১৯.৬৩ শতাংশ । ব্যক্তিগত পরিবহন ও ছোট যানবাহনে বেড়েছে প্রাণহানী
[৪] রোববার দুপুরে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রতিবেনে এ তথ্য তুলে ধরেন। বিগত ২৬ জুলাই থেকে ০৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৩ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪২ জন নিহত ও ৩৩১ জন আহত হয়েছেন।
[৫] সংগঠিত দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ৩২.৫৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৯.৩৫ শতাংশ বাস, ১৯.৩৫ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-লরি, ১০ শতাংশ ব্যাটারীরিক্সা-ইজিবাইক-ভ্যান-সাইকেল, ৮.০৬ শতাংশ অটোরিক্সা, ৭.৭৪ শতাংশ কার-মাইক্রো-জিপ ও ২.৯০ শতাংশ নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর-লেগুনা-মাহিন্দ্রা এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।
[৬] মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারী নোভেল করোনাভাইরাসের কারণে এবছর গণপরিহন সীমিত আকারে চালু থাকায় ঈদযাত্রা ব্যক্তিগত পরিবহন ও ছোট যানবাহনে যাতায়াত বেড়েছে। মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ যাত্রীর যাতায়াত হলেও সেই তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
[৭] তিনি বলেন, ছোট দেশের সীমিত রাস্তায় ছোট যানবাহনের আমদানী জরুরী ভিত্তিতে বন্ধ করে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরী হয়ে পড়েছে। ব্যক্তিগত যানবাহনের চালকদের প্রশিক্ষণ, নিয়ন্ত্রয়ক সংস্থা বিআরটিএসহ ট্রাফিক বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহনকে বিকশিত করা জরুরী।
আপনার মতামত লিখুন :