তোফায়েল আহমেদ: ফেসবুকের ঈদ এবং সারা দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে নানা দুর্ভোগে নিপতিত মানুষের ঈদে কতো পার্থক্য। মানুষ নিজের আনন্দের সাথে তাদের দুর্ভোগের কস্টের একটু সহমর্মিতাকে যুক্ত করলেই ঈদটা সর্বজনীন হয়। নতুবা তা একজন সমাজ বিচ্ছিন্ন স্বার্থপরের ভোগ-উপভোগের বাহানা হয়ে যায়। করোনার আঘাতে বিশে^র কোটি মানুষ স্বজনদের মৃত্যু শোকে মূহ্যমান। বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় প্রায় ৪ লাখ মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। ক্ষমতা লিপ্সুদের অন্যায় যুদ্ধে ইরাক, সিরিযা ইয়ামেন, কাশমীর, কুর্দিস্থানের কোটি মানুষ মানুষ বাস্তুচ্যুত। এই বাংলায় লাখ লাখ সম্পন্ন মানুষ কাজ হারিয়ে দিশেহারা। পাটকল শ্রমিকদের কথা একবার ভাবুন।
যে ব্যক্তিটি ঢাকার বাসা ছেড়ে পরিবার গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন তার কথা একবার ভাবুন। হয়তো কিছুই করতে পারলেন না । কিন্তু এতো উচ্ছ্বাসের সাথে উপভোগ করতে পারবেন না। আমার-আপনার সামর্থ্য আছে তাই আমরা সারা জীবন যা করে আসছি, তাই করব তা হয় না। কিন্তু কিছু বন্ধুর ফেসবুূক স্ট্যাটাস দেখলে মনটা বিষাদে ভরে যায়, যেন কেথাও কিছু হয়নি। তারপর আছে আরও কিছু মানুষের ব্যবসা-ধান্ধা। কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে কী হয়ে গেলো! করোনা এখনো কিছু মানুষের মনোজগতে কোনো পরিবর্তন আনতে পারলো না। এদের মাথায় মৃত্যুচিন্তা, বুকের ভেতর হৃদয়, শরীরের উপর চামড়া আছে বলে মনে হয় না। ফেসবুক থেকে