রাশিদ রিয়াজ : [২] লাদাখ সংঘাতের আবহে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঘাতক প্রিডেটর-বি ড্রোন কিনতে পারে ভারত। একই সঙ্গে ইসরায়েল ৬টি সশস্ত্র হেরন টিপি ড্রোন কেনার পরিকল্পনাও রয়েছে। মার্কিন প্রিডেটর ড্রোনকে বলা হয় ‘মিডিয়াম অল্টিটিউড লং-এন্ডুর্যান্স’ সশস্ত্র প্রিডেটর-বি ড্রোন। দি ওয়াল
[৩] জম্মু-কাশ্মীরের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নজরদারি, উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে সশস্ত্র প্রিডেটর ড্রোন কেনার কথাবার্তা আগেই হয়েছিল। সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের আবহে এই প্রিডেটর ড্রোনের প্রয়োজনীয় পড়েছে ভারতের।
[৪] চালকবিহীন এই ড্রোন তৈরি করেছে জেনারেল অ্যাটোমিক্স অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেম। মার্কিন বিমান বাহিনী এই ধরনের অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে। উঁচু পাহাড়ি এলাকায় নজরদারি চালানো এবং দুর্গম এলাকায় অতর্কিতে শত্রুঘাঁটির উপরে হামলা চালাতে এই ড্রোনের জুরি মেলা ভার।
[৫] এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন আকারে বড়, ওজনেও ভারী। চালকহীন কমব্যাট এরিয়াল ভেহিকল। এতে রয়েছে ৭১২ কিলোওয়াটের টার্বোপ্রপ ইঞ্জিন। নিজের ওজনের থেকে ১৫ গুণ বেশি ওজন বইতে পারে রিপার ড্রোন। গতি ঘণ্টায় ৪১০ কিলোমিটার। প্রায় ১৭৪৬ কিলোগ্রাম ওজনের পে-লোড বইতে পারে প্রিডেটর-বি। ভূমি থেকে ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় টানা ৩০ ঘণ্টা উড়তে পারে এই ঘাতক ড্রোন।
[৬] ইসরায়েলের ‘আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল’ (ইউএভি) হেরন টিপি (ঊরঃধহ)ড্রোনে অস্ত্র ভরার ব্যবস্থা আছে। দূরপাল্লার এই ড্রোন দিয়ে শত্রু ঘাঁটিতে অনায়াসেই টার্গেট করা যাবে। হেরন টিপি ড্রোনের নির্মাতা সংস্থা ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০০৫ সাল থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রয়েছে এই সশস্ত্র ড্রোন।
আপনার মতামত লিখুন :