আল আমিন : [২] নেত্রকোনার মদন উপজেলার উচিতপুর হাওড়ে নৌকাডুবিতে নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকাল সোয়া ৬টায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কোণাপাড়া ঈদগাহ মাঠে ওই গ্রামের ১৮ জনের জানাজা একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাদের দাফন হয়। নিহতদের মধ্যে ১৫ জনই ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বাসিন্দা। বাকি দুইজনের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে।
[৩] একই পরিবারের সাতজনকে একসঙ্গে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। পরিবারের অবিভাবক মাদরাসায়ে মারকাজুস সুন্নাহর মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমানকে মাদরাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়েছে। এছাড়াও নিহত অন্যদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় গৌরীপুরের নিহত দুইজনকে দাফন করা হয়েছে।
[৪] এর আগে নিহতদের মরদেহ বুধবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাদরাসা প্রাঙ্গণে আনা হয়। এ সময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। চারদিকে শুধু কান্নার শব্দ শোনা যায়। নিহতদের পরিবার আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারি ওঠে পরিবেশ।
[৫] নিহতরা হলেন- মাদরাসায়ে মারকাজুস সুন্নাহর মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান (৪৫), তার দুই ছেলে হাফেজ মাহবুবুর রহমান আসিফ (১৫), মাহমুদুর রহমান (১২), ভাগ্নে রেজাউল করিম (১৫), ভাতিজা জোবায়ের (২০), জোনায়েদ (১৭), ভাতিজি লুবনা (১৩), জুলফা (৭), চরখরিচা গ্রামের কৃষক ইসা মিয়া (৪০), তার ছেলে শামীম (১০), কোনাপাড়া গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম (৩৮), হামিদুল (৩৫), সাইফুল ইসলাম রতন (৩০), জহিরুল ইসলাম (৩৫), চরগোবিন্দপুরের তালেব মেম্বারের ছেলে শহিদুল (৪০), গৌরীপুর উপজেলার ধোপাজাঙ্গালিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শফিকুর রহমান (৪০) ও তার ছেলে সামাআন (১০)।
[৬]চরসিরতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জানান, খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলা গ্রহণ করেন। পরে সবগুলো মরদেহ রাতের মধ্যেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
[৭] ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহত ১৭ জন ময়মনসিংহের বাসিন্দা। নিহতদের মধ্যে সদর উপজেলার ১৫ জনের প্রত্যেকের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার করে টাকা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও গৌরীপুরের দুইজনের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসন ২০ হাজার করে টাকা দিয়েছে।
[৮] এদিকে নৌকাডুবির ঘটনায় রাকিব (২০) নামে নিখোঁজ একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তার বাড়িও কোনাপাড়া গ্রামে। দুপুর পর্যন্তও তার মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়নি। সম্পাদনা: সাদেক আলী