লিহান লিমা: [২] উত্তর কোরিয়া ব্যালাস্টিক মিসাইলের ওয়ারহেডে সংযুক্ত করা যায় এমন ক্ষুদ্রকৃতির পারমাণবিক ডিভাইস তৈরি করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারী বিশেষজ্ঞদের একটি স্বতন্ত্র প্যানেল সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়া বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে গোপন এই তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেয়। আল জাজিরা
[৩] প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক কর্মসূচি এবং অস্ত্র উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। অত্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে এবং পরীক্ষামূলকভাবে লাইট ওয়াটার রিঅ্যাক্টর স্থাপন করেছে। সর্বশেষ চালানো ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে একটি ক্ষুদ্রাকৃতির পারমাণবিক ডিভাইস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
[৪] পিয়ংইয়ং এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে কোনো প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত দেয় নি। গত সপ্তাহে কোরিয় যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে দেশটির নেতা কিম জং উন বলেছিলেন, ‘বর্হিবিশ্বের চাপ ও সামরিক হুমকি সত্ত্বেও ভবিষ্যতে আর কোনো যুদ্ধ হবে না। কারণ নিজেদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করেছে।’
[৫] পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ২০০৬ সাল থেকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে তারা। তবে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া কোনও ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে দু’দুবার বৈঠক করলেও তা সফল হয় নি। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :