ইসমাঈল ইমু : [২] ঢাকায় আরও ফ্ল্যাট আর বাড়ির খোঁজ মিলেছে। এছাড়াও পাপুলের নিজ সংসদীয় এলাকা ও রায়পুরে রয়েছে অঢেল সম্পদ। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে দুদক ও সিআইডি।
[৩] রাজধানীর কুটনৈতিক পাড়ায় বিলাসবহুল বাড়িটিতে থাকেন দুজন কাজের মেয়ে। বাড়িটি কেনা স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের নামে। একইভাবে গুলশান-১ এর এই বাড়িটিতেও রয়েছে স্ত্রী ও মেয়ের নামে ৩ হাজার স্কয়ার ফিটের দুটি ফ্ল্যাট। রয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬ তলা বাড়ি।
[৪] ৫০ কোটি টাকার শেয়ার কিনে পাপুল হয়েছেন এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক। এই ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে ব্যবসার আড়ালে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ২৮০ কোটি টাকা হুন্ডি ও বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পাচারের অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।
[৬] গত ১৭ জুন মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েত পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এই সংসদ সদস্যের কুয়েতের ৫০ লাখ কুয়েতি দিনারের হিসাবগুলো জব্দ করেছে কুয়েত। বাংলাদেশি অর্থমূল্য ১৩৮ কোটি টাকা। কুয়েতের মতো দেশেও মানবপাচারের অভিযোগ তদন্ত করে এবার পাপুলের সিন্ডিকেটের লাগাম টানতে চায় সিআইডি।
[৭] সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মানবপাচার নিয়ে তো মামলা হয়েছে, এখন অর্থপাচার নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। উৎস পেলেই সিআইডি মামলা করবে।
আপনার মতামত লিখুন :