জেরিন আহমেদ: [২] এবছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ থেকে ৪০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে দাম ২৮ থেকে ৩২ টাকা। অপরদিকে ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ -১৫ টাকা প্রতি বর্গফুট। গতবছর চামড়ার দাম আরো বেশি ছিল। ভারতে চামড়ার দাম বরাবরই বেশি। সেই কারণে সীমান্ত পথে চামড়া পাচারের প্রবণতা রয়েছে।
[৩] এবার ঈদে চামড়ার দাম নেই বললেই চলে এক একটি চামড়া ২০/৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অনেকে সড়কে ফেলে চলে গেছে। এ সুযোগে একটি মহল চামড়া সংগ্রহ করে লবন দিয়ে মজুদ করে রেখেছে। সময় সুযোগ পেলে তা ভারতে পাচার করার চেষ্টা করবে।
[৪] সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেনাপোল ও শার্শার পুটখালী, গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, ঘিবা, সাদিপুর, বড় আঁচড়া, কাশিপুর ও রঘুনাথপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
[৫] সূত্র জানায়, খুচরা ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত দামের চেয়ে আরো কম দামে চামড়া কিনে মজুদ করে রাখছেন। তারা স্থানীয় বাজারে চামড়া না তুলে নিজস্ব কায়দায় তা সংরক্ষণ করছেন। দেশের বাজারে দাম কম হওয়ায় এই চামড়া বাংলাদেশে রাখা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
[৬] খুলনা ২১ ও যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মুনজুর এলাহী ও লে. কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি পোস্টে কড়া নজরদারি রয়েছে। বিশেষ করে রাতে টহল ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। যাতে কেউ অবৈধভাবে ভারতে চামড়া পাচার করতে না পারে সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তগুলো চিহ্নিত করে টহল ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবত থাকবে বলে জানান ওই কর্মকর্তাদ্বয়। সময় টিভি, ডিবিসি