রাশিদ রিয়াজ : [২] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ কোভিড সংক্রমণ ছড়ানোর ছ’মাসের মধ্যেই এই সতর্কবার্তা জানাল। চীনে গত বছর ডিসেম্বর মাসে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এপর্যন্ত ১ কোটি ৭৩ লাখের বেশি মানুষ এই সংক্রমণের কবলে পড়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের। সিএনএন
[৩] শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমারজেন্সি কমিটির ১৮ সদস্য ও আরও ১২ উপদেষ্টা এ নিয়ে চারবার বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম জানান, ‘ ৬ মাস আগে আপনারা পরামর্শ দিয়েছিলেন যাতে আমি পাবলিক হেলথ এমারজেন্সি অফ ইন্টারন্যাশনাল জরুরি অবস্থা জারি করি। সেই সময় চীনের বাইরে ১০০ জনও সংক্রামিত হয়নি। একটাও মৃত্যু হয়নি। কিন্তু এখন এই অতিমারী এক শতকে একবার আসা অতিমারীতে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাব আগামী কয়েক দশক ধরে বোঝা যাবে।
[৪] ‘হু’ প্রধান আরও বলেন, অনেক দেশ মনে করছে এই সংক্রমণ শেষ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তখনই সেখানে দ্বিতীয়বার সংক্রমণের ঢেউ আসছে যা প্রথমবারের থেকেও ভয়ঙ্কর। তাই এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার সময় আসেনি। বহুদিন ধরে লকডাউন থাকায় অনেক দেশ আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে। তাই ভ্যাকসিন ছাড়া এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার কোনও উপায় নেই। তবে ভ্যাকসিন বের হলেও মাথায় রাখতে হবে এই ভাইরাসের সঙ্গে বেঁচে থাকা আমাদের শিখতে হবে। তাই কিছু কিছু জিনিস, যেমন মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, রাস্তায় দূরত্ব বজায় রাখাকে নিজেদের অঙ্গ করে নিতে হবে আমাদের।
[৫] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও এই ভাইরাসকে অতিমারী হিসেবে ঘোষণা অব্যাহত রাখবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছে। ৩০ জানুয়ারি প্রথমবার কোভিডকে পাবলিক হেলথ এমারজেন্সি অফ ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন বলে ঘোষণা দিয়েছিল হু।
[৬] কোভিড সংক্রমণকে আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করতে দেরি করায় এর আগে অনেক দেশ সমালোচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। যুক্তরাষ্ট্র দাবি তোলে চীনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে ‘হু’। ভাইরাস ছড়ানো, মাস্ক পরা নিয়ে প্রথমে যে সতর্কবার্তা ও পরবর্তীকালে যে সতর্কবার্তা জারি করেছে হু তার মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকায় সেটা নিয়েও সমালোচনা হয়েছে বিশ্বজুড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :