আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] উরুমকির সাবেক বাসিন্দা জুমরাত দাউত এই ধরণের নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, তার অনুমোদনের চেয়ে একটি বেশি সন্তান থাকায় তাকে এই ধরণের প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। সিএনএন
[৩] জুমরাত জানান, তার সন্তান ৩টি। কিন্তু উইঘুরদের দুটির বেশি সন্তান নেবার অনুমোদন না থাকায় তাকে ১৮ হাজার ৪০০ ইউয়ান জরিমানা করা হয়। তিনি জরিমানা দিতে হলে তাকে জানানো হয়, অবশ্যই একটি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
[৪] এরপর জুমরাতকে একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। এরপর তার শরীরে একটি আইভি লাগিয়ে দেয়া হয় জেনারেল অ্যানেসথেশিয়ার মাধ্যমে। এরপরই তাকে জানানো হয় তার টিউবাল লাইগেশন করা হবে। এর আগে তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি।
[৫] জুমরাত প্রথম নন। এর আগেও চীনের ভেতরে ও বাইরে থাকা উইঘুর নারীরা এ ধরণের জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণের উল্লেখ করেছেন।
[৬] এসব নারীদের অভিযোগ, চীনের এক সন্তান নীতি তাদের উপর প্রযোজ্য নয়, কারণ তারা স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল। কিন্তু চীন চায় তাদের সংখ্যা না বাড়ুক। এজন্যই জোর করে এ ধরণের বন্ধ্যাকরণ করা হচ্ছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান