লাইজুল ইসলাম : [২] সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে অতিরিক্ত যাত্রী সমাগম ঘটে। দুপুরের দিকে কিছুটা কমেও যায়। কিন্তু বিকেলে আবারও বৃদ্ধি পায় যাত্রীচাপ। এই অবস্থায় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে কয়েকটি লঞ্চ। তাই তাদেরকে অর্থদণ্ড করা হয়।
[৩] সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পরিচালক আলোমগীর কবীর বলেন, এত ছোট একটি জায়গায় এক সঙ্গে ৭০ হাজার মানুষ চলে আসলে তাদের দিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মানানো খুবই কঠিন। এই অবস্থায় যাত্রীদের স্বাস্থ্য বিধি মানাতে যতটুকু সম্ভব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করেছেন।
[৪] অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ায় কয়েকটি লঞ্চ চেষ্টা করেছে নিয়মের বাইরে গিয়ে যাত্রী পরিবহন করতে। কিন্তু আমরা সেটা করতে দেইনি। অতিরিক্ত যাত্রী নামিয়েছি। সংশ্লীষ্ট লঞ্চের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
[৫] নৌপুলিশের এসপি খন্দকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, সদরঘাটে সম্প্রতি একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন যেনো আর কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা তৎপর রয়েছি। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তিনি ইতমধ্যে অভিযান পরিচালনা করছেন। ৩০ জনকে স্বাস্থ্য বিধি না মানায় জরিমানা করা হয়েছে। একটি লঞ্চকে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
[৬] এসপি খন্দকার ফরিদুল বলেন, এত মানুষ এক সঙ্গে বাড়ি রওনা দিচ্ছেন। তাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই বুঝেতে চাইছেন না। আবার কঠোর হলে বলছে পুলিশ বাড়ি যেতে বাঁধা দিচ্ছে। তাই যতটুকু সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি সাধারণকে স্বাস্থ্য বিধি মানতে বাদ্ধ্য করতে।