শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০২০, ০৪:১৪ সকাল
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২০, ০৪:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রায়হান কবিরকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের

ডেস্ক রিপোর্ট : অভিবাসীদের ওপর সরকারের নিপীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় সাক্ষাৎকার দেওয়ায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি রায়হান কবিরকে মুক্তি দিতে মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

সংস্থাটি বলছে, মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সরকারের নীতির সমালোচনার করার প্রতিশোধ হিসেবেই বাংলাদেশি শ্রমিক রায়হান কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ২৪ জুলাই রায়হান কবিরকে গ্রেপ্তারের পর ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। তাকে আজীবনের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করে দেশে ফেরত পাঠানোরও ঘোষণা দেন মালয় অভিবাসন পুলিশের মহাপরিচালক।

এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া বিষয়ক উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপ সব অভিবাসী শ্রমিকদের অবাধ গ্রেপ্তার, বহিষ্কার, কালো তালিকাভুক্তির মতো অধিকারহরণের মতো ঘটনায় কথা বলার বিরুদ্ধে একটি শীতল বার্তা দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘তথ্যচিত্রের একজন বক্তব্যদাতাকে গ্রেপ্তার করা মানে হলো মালয়েশিয়ার বাক-স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের বিধ্বংসী হামলা।’

মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, রায়হান কবিরের ব্যাপারে যেভাবে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে, তার প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে।

তারা বলছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারে দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদেরও সুরক্ষা দেয়া হয়েছে এবং তাদের বাক স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

এইচআরডব্লিউ বলছে, রায়হান কবিরের গ্রেপ্তার এবং আল-জাজিরার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে দেশটির বাক-স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বড় ধরনের দমন পীড়নের একটি অংশ, যেখানে সরকারের সমালোচনার করার কারণে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সাধারণ নাগরিকরাও তদন্ত ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।

রবার্টসন বলেন, ‘অভিবাসীদের ওপর আচরণ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলা কোনো অপরাধ নয়, এরকম নির্যাতন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাও অন্যায় নয়।’

তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার সরকারের উচিত রায়হান কবিরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া এবং দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি করার চেষ্টা করা।’

বাংলাদেশের ২১টি সিভিল সোসাইটি গ্রুপও রায়হান কবিরকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সূত্র : দেশ রূপান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়