মো. আল-আমিন : [২] পদ্মা নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীয়তপুরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষ খাবার, পানীয় জল ও পয়ঃনিষ্কাশন সংকট মোকাবেলা করছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার অন্তত দেড়লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার কয়েকটি আঞ্চলিক সড়কে পানি উঠেছে।
[৩] জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান হাবিবুর রহমান জানান, গত দুদিন জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মানদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও গত কয়েকদিন থেকে সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মানদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
[৪] সরেজমিনে বিভন্ন এলাকা ঘুরে এবং জেলা ত্রাণ শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জেলার বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগের চিত্র পাওয়া গেছে।
[৫] জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখার প্রধান সহকারী রাকিব হোসেন জানান, শরীয়তপুর শহরসহ নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৫১টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নড়িয়া-মুলফৎগঞ্চ সড়ক, বিঝারী-নড়িয়া সড়ক, নড়িয়া-বাসতলা সড়ক, ঘড়িসার সুরেশ্বর সড়ক, কোটাপাড়া-নশাসন সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়ক নতুন করে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
[৬] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমির হামজা বলেন, চারটি উপজেলায় বন্যার পানির নিচে চার হাজার ৩৩৬ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুর বাসস্থান ও খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জাজিরা ও নড়িয়া এলকায় দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সংকট।
[৭] এদিকে সোমবার সকালে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম নড়িয়া উপজেলা সদরে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। এছাড়াও জাজিরা উপজেলার জাজিরা ইউনিয়নে বন্যা কবলিত ১৩শ’ লোকের মাঝে এবং বিলাশপুর ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলে দিনভর ত্রাণ বিতরণ করেছেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। সম্পাদনা: সাদেক আলী