শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০২০, ০৯:৪০ সকাল
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০২০, ০৯:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কোরবানির চামড়া কেনা নিয়ে শঙ্কায় নওগাঁর ব্যবসায়ীরা

এবাদুল হক : [২] নওগাঁর চামড়া ব্যবসায়ী সাদিক হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে বেশ সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছেন তিনি। তবে তিন বছর ধরে কয়েকটি ট্যানারিতে তার ৩৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা আটকে আছে। দীর্ঘদিন ধরে তাগাদা দিয়েও পাওনা টাকা আদায় করতে পারছেন না তিনি। ব্যবসায়িক পুঁজির একটা বড় অংশ আটকে পড়ায় এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

[৩] সাদিকের মতো একই অবস্থা আরেক চামড়া ব্যবসায়ী ফরিদ আকতারের। নাটোরের এক চামড়ার আড়তদারের কাছে ২০ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তার, যা তাগাদা দিয়েও ফেরত পাচ্ছেন না তিনি। এতে আসন্ন কোরবানির ঈদে চামড়া কেনা নিয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে।

[৪] কেবল সাদিক হোসেন ও ফরিদ আকতার নন, ট্যানারি মালিকদের কাছে নওগাঁর অধিকাংশ চামড়া ব্যবসায়ীর দীর্ঘদিনের টাকা আটকে আছে। ফলে আসন্ন কোরবানির ঈদের চামড়া কেনা নিয়ে শঙ্কায় আছেন জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা। ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা টাকা দ্রুত ফেরত পেতে তারা সরকারের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে জেলা পর্যায়ের প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।

[৫] জেলার চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ঈদুল আজহায় নওগাঁয় ৮০ হাজারের বেশি গবাদিপশু কোরবানি দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার গরু ও বাকি ৪৫ থেকে ৫০ হাজার অন্যান্য গবাদিপশু। আর জেলায় প্রতি বছরের কোরবানি মৌসুমে প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চামড়া কিনে নেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। জেলার মূল চামড়া ব্যবসায়ী সদস্য সংখ্যা ২২১। এসব সদস্য ছাড়াও ১৫০ জনের মতো নানান ফড়িয়া ও মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী আছেন। তবে এসব চামড়া ব্যবসায়ীর প্রায় সবাই এখন মূলধন হারিয়ে অভাবে দিনাতিপাত করছেন। ট্যানারি মালিকদের কাছে টাকার তাগাদা দিয়েও পাচ্ছেন না তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়