শিরোনাম
◈ ভুয়া জুলাই শহীদ-যোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ◈ কুয়াকাটা সৈকত থেকে আবারও অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ◈ আদমদীঘিতে ভাঙা রেললাইনে কম্বল গুঁজে ১৮ ঘন্টা ট্রেন চলাচল ◈ জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ◈ বিসিএস পরীক্ষা: কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত ◈ চশমা ছাড়াই স্পষ্ট দেখা সম্ভব, কার্যকর আই ড্রপ উদ্ভাবন ◈ যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন বেতন কাঠামোতে  ◈ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ইসরা‌য়েল‌কে বহিষ্কারের দাবি জানা‌লেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০২০, ০৯:৪০ সকাল
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০২০, ০৯:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কোরবানির চামড়া কেনা নিয়ে শঙ্কায় নওগাঁর ব্যবসায়ীরা

এবাদুল হক : [২] নওগাঁর চামড়া ব্যবসায়ী সাদিক হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে বেশ সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছেন তিনি। তবে তিন বছর ধরে কয়েকটি ট্যানারিতে তার ৩৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা আটকে আছে। দীর্ঘদিন ধরে তাগাদা দিয়েও পাওনা টাকা আদায় করতে পারছেন না তিনি। ব্যবসায়িক পুঁজির একটা বড় অংশ আটকে পড়ায় এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

[৩] সাদিকের মতো একই অবস্থা আরেক চামড়া ব্যবসায়ী ফরিদ আকতারের। নাটোরের এক চামড়ার আড়তদারের কাছে ২০ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তার, যা তাগাদা দিয়েও ফেরত পাচ্ছেন না তিনি। এতে আসন্ন কোরবানির ঈদে চামড়া কেনা নিয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে।

[৪] কেবল সাদিক হোসেন ও ফরিদ আকতার নন, ট্যানারি মালিকদের কাছে নওগাঁর অধিকাংশ চামড়া ব্যবসায়ীর দীর্ঘদিনের টাকা আটকে আছে। ফলে আসন্ন কোরবানির ঈদের চামড়া কেনা নিয়ে শঙ্কায় আছেন জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা। ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা টাকা দ্রুত ফেরত পেতে তারা সরকারের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে জেলা পর্যায়ের প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।

[৫] জেলার চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ঈদুল আজহায় নওগাঁয় ৮০ হাজারের বেশি গবাদিপশু কোরবানি দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার গরু ও বাকি ৪৫ থেকে ৫০ হাজার অন্যান্য গবাদিপশু। আর জেলায় প্রতি বছরের কোরবানি মৌসুমে প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চামড়া কিনে নেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। জেলার মূল চামড়া ব্যবসায়ী সদস্য সংখ্যা ২২১। এসব সদস্য ছাড়াও ১৫০ জনের মতো নানান ফড়িয়া ও মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী আছেন। তবে এসব চামড়া ব্যবসায়ীর প্রায় সবাই এখন মূলধন হারিয়ে অভাবে দিনাতিপাত করছেন। ট্যানারি মালিকদের কাছে টাকার তাগাদা দিয়েও পাচ্ছেন না তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়