রুহুল আমিন : বন্যা আরও বাড়তে পারে। উজানের পানি নামা আর উপর থেকে বৃষ্টি পড়া একই সাথে ঘটলো। এখন অমাবস্যা চলছে, সাগরের জোয়ারে চলছে তেজকটাল, তার মানে সাগরের পানির গড় উচ্চতা এমনিতেই ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পাবে। ফলে নদীর গতি কমে যাবে। এবার বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের বন্যা ঠেকানোর কোনো উপায় এই। গড়াই নদীর খননের ফলে প্রতিবছরের বর্ষার চাপ অনেকটাই কমে যায়। এবার একই সাথে শ্রাবণ, তেজকটাল-উজানের পানি (উজানের পানিও তেজকটালের কারণে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে ঘটে) একই সাথে বাংলাদেশের উপর স্থির হয়েছে।
তাই বন্যা হবেই হবে। চাঁদের অবস্থান আর শ্রবনের বর্ষণের এমন ধারা প্রতি ১৮ বছর পর পর এক সাথে মিলিত হয়। গড়াই যেমন কিছু পানি সরিয়ে নিচ্ছে সুন্দর বনের দিকে। তেমন পুরাতন ভ্রমপুত্র যদি কিছু পানি ঢাকার পুর্বাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত করতে পারতো তবে বন্যা কিছুটা কমানো সম্ভব হতো। গোমতির শাখা নদীগুলো হত্যা করার ফলে গোমতির পানি আর কুমিল্লায় আশ্রয় পায় না, পুরোটাই চলে আসে মেঘনায়, উজানের পানিতো আছেই। তাই মেঘনাও এখন টইটুম্বুর। তার মানে পদ্মা ও মেঘনা এবার ভয়ঙ্করভাবে মুখোমুখি। এবারের বন্যার উচ্চতা কোরবানির ঈদের আগে কমবে বলে মনে হয় না। তাই লঞ্চ দুর্ঘটনার বিষয়েও এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :