আশরাফ আহমেদ, হোসেনপুর প্রতিনিধি : [২] কিশোরগঞ্জ হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষি ফসলি জমি, আমন ধানের বীজতলা, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে, গবাদি পশু ও পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বন্যার্ত বাসিন্দারা।
[৩] সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চর হাজিপুর গ্রাম, চরকাটিহারী,সাহেবের চর, চরবিশ্বনাথপুর’সহ বিভিন্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ওইসব অঞ্চলের মানুষ আসবাবপত্র ও গরু ছাগল সহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে।
[৪] বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র উঁচু স্থানে বা কারো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ওইসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ,খাবার ও গো খাদ্যের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বন্যার্ত মানুষেরা চরম দূর্ভোগে দিশেহারা।তবে এখনো তাদের এই বিপদগ্রস্ত দুর্দিনে কোনো সাহায্য সহযোগিতা ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি। এ দিকে শিশুদের খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে ব্যাপক। ফলে অনেক শিশুদের মুখে পুষ্টিকর খাদ্যের যোগান দিতে পারছেনা তার মা -বাবা। এর পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার না দেয়ার কারনে অপুষ্টিহীনতায় ভুগছে অনেক গর্ভবতী মহিলা।
[৫] অন্যদিকে দুর্গত মানুষেরা সাপ আর বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের আতঙ্কে নিয়ে সারারাত জেগে থাকছে।
[৬] বন্যার্ত অঞ্চলের চর হাজীপুর গ্রামের অনেকেই জানায়, বন্যায় কবলিত হয়ে আমরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছি। চরম দুর্ভোগের দিনাতিপাত করছি ।তবে এখনো কোনো রকমের কারো সহযোগিতা ও ত্রাণ সামগ্রী পায়নি বলেও তারা জানান।
[৭] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ জেড এম জাহিদুর রহমান জানান, বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসক কিশোরগঞ্জ মহোদয়ের অবহিত করা হয়েছে। তবে অচিরেই ওইসব বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা : হ্যাপি