রেজাউল করিম , সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: [২] যমুনা নদীতে প্রচন্ড স্রোতে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত তিন দিনে স্পারের মাটির স্যাংঙ্কে প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে চলে গেল। এতে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
[৩] পাউবো ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বেলকুচি উপজেলার দক্ষনাঞ্চল এনায়েতপুর থাননা এলাকায় যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষায় ১৯৯৯-২০০০ ইং অর্থ বছরে প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যায়ে পাউবোর তত্বাবধানে আজুগড়া স্পার-১ নির্মান করা হয়। প্রতি বছরই যমুনায় পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় স্পার এলাকা ঝুঁকিপূর্ন হয়ে ওঠে। বিশেষ করে গত প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে যমুনার পানি কিছু কমতে থাকায় নদীতে প্রচন্ড স্রোতে ঘুর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়।
[৪] বুধবার ২২ জুলাই সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তীব্র স্রোতে আকস্মিক ভাবে স্পারের স্ট্রাকচারের প্রায় ২০ মিটার পশ্চিমে মাটির স্যাংকে ভয়াবহ ভাঙনে প্রায় ৮০ মিটার বিলীন হয়ে যায়।
[৫] এছাড়া গত সোমবার (২০ জুলাই) সকালে একই স্থানের পশ্চিমে আর ৭০ মিটার এলাকা ধসে যায়। এ নিয়ে গত ৩ দিনের ব্যবধানে ১৫০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে চলে গেছে।
[৬] এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, স্পার বাঁধের কারনে আজগড়া-বেতিল এলাকার হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও বহু তাঁত কারখানা সহ নব প্রতিষ্ঠিত সিরাজগঞ্জ ভেটেরিনারী কলেজ ও মৎস্য ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউড গড়ে উঠে। তবে এবছর একের পর এক স্পারে ভাঙন দেখা দেয়ায় হুমকিতে পড়ে চরম আতঙ্কে মুখে পড়েছি।
[৭] এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন এই প্রতিবেদককে জানান, নদীতে প্রচন্ড স্রোত ও স্কাউরিংয়ের ফলে মাটির স্যাংঙ্কের ৮০ মিটার এলাকায় বিলীন হয়েছে। এর আগেও ধসে যাওয়া ৭০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং চলমান রয়েছে। আশা করছি দ্রুতই ভাঙন মুক্ত করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :